প্রতিবেদন : গণতন্ত্রের সব থেকে বড় উৎসব। সেই উৎসবের রেশ লেগেছে গ্রাম বাংলায়। উৎসবের মেজাজেই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে প্রস্তুত গ্রাম বাংলার মানুষ। দেড় লাখের বেশি বাহিনী নিয়োগ, তৃণমূল স্তর পর্যন্ত অবজারভারদের নজরদারি, ব্যালট বাক্সে কিউআর কোড। ভোটের শান্তি বজায় রাখতে এবং কারচুপি এড়াতে সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি জেলার জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ অবজারভার নিয়োগ করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। এছাড়া ভোটারদের অভাব অভিযোগ নিরসনে কেন্দ্রীয়ভাবে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নম্বর – 1800 345 5553।
আরও পড়ুন-‘কোথায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী’ ক্ষোভপ্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থীর মৃত্যু এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের জন্য ১ হাজার ৪৩টি বুথে ভোট হচ্ছে না। এর ফলে শনিবার ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৩৪টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা ৭.৮৪ শতাংশ। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল সাতটা থেকে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। রাজ্যের ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে কুড়িটি জেলাতেই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠনের একাধিক দফায় ভোট ভোটের দাবি থাকা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই ভোট হচ্ছে এক দফাতে। যদিও উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকেও কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী হাসিনার হস্তক্ষেপ, অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিমের
আগামী ১১ জুলাই গণনা। ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তবে এই ব্যালট বাক্স নিয়ে যাতে কারচুপি না হয়, তার জন্য তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই আবহে জানা গিয়েছে, ব্যালট বাক্সে ‘কিউআর কোড’ থাকবে। এর আগে গত নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে এবার ভোট প্রচারে নেমে বিরোধীরা ভুয়ো ব্যালট পেপার ছাপানোর গুরুতর অভিযোগও করেছে। এইসব অভাব- অভিযোগ নিরসনে কোমর বেঁধে নেমেছে কমিশন। তাদের এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে তার জবাব মিলবে আর
কয়েকঘণ্টা পরেই।