মৌসুমী দাস পাত্র, নদিয়া: যিশুর জন্মদিন কেক দিয়ে উদযাপনে আলাদা উন্মাদনা আছে। আর বড়দিন উপলক্ষে কেকের ব্যাপক বিক্রিবাটায় ব্যবসায়ীরাও খুশি। বড়দিনে কেউ রাধাকৃষ্ণ, কেউ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, কেউ বা তাঁদের প্রাণের বিগ্রহ বলদেব, গোপাল, জগন্নাথকে ছানা বা ক্ষীরের কেক নিবেদন করেন। চৈতন্যধাম নবদ্বীপে এটাই রীতি। তাই নবদ্বীপে হরেক কেকের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানে ছানা বা সম্পূর্ণ ক্ষীরের কেক বিকোচ্ছে দেদার।
আরও পড়ুন-রাহুলই কিপিং করবেন আগাম ইঙ্গিত দ্রাবিড়ের
বড়দিনে নবদ্বীপের অধিকাংশ মঠ-মন্দিরেও ছানা বা ক্ষীরের কেক তৈরি করেন ভক্তরা। তপ্ত বালির ওপরে নতুন পাত্রে ছানা, চিনি, মোরব্বা, চেরি, শুকনো ফলের টুকরো, কাজু, কিসমিস, কাঠবাদাম দিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যায় ছানার কেক। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত তথা বিষ্ণুপ্রিয়া সমিতির সভাপতি সুদিন গোস্বামী বলেন, মহাপ্রভু সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলতেন। সব ধর্মকে সম্মান করতে শিখিয়েছেন।
আরও পড়ুন-৪৬ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জয়
যিশুকে ঘিরে বড়দিন উদযাপিত হলেও বড়দিনের সন্ধ্যায় গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে ভোগে ক্ষীরের কেক দেন বিষ্ণুপ্রিয়ার বংশের মহিলারা। নবদ্বীপ গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের মহাসচিব কিশোরকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, ‘বড়দিনে কেকের চল রয়েছে খ্রিস্টনদের মধ্যে। সেই রীতি মেনে সমস্ত ধর্মকে সম্মান জানিয়ে নবদ্বীপের বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের দেবতাদেরও ছানার কেক নিবেদন করা হয়।’ বড়ালঘাটের এক মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে ছানার কেকের ভীষণ চাহিদা থাকে। এসময় রোজ ১৫ থেকে ২০ কেজি কেক তৈরি হয়। তবে বড়দিনের আগের দিন ১০০ কেজি কেক তৈরি করতে হয়। চারশো টাকা কেজি দরে তা বিক্রি করে আমাদের ব্যবসারও বাড়বাড়ন্ত ঘটে।’