ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক সবুজ-মেরুনের, তিন বড় ম্যাচে গোল কৃষ্ণর

বাগানে বিদ্ধ ইস্টবেঙ্গল এটিকে মোহনবাগান ৩ (কৃষ্ণ, মনবীর, লিস্টন) এসসি ইস্টবেঙ্গল ০

Must read

প্রতিবেদন : ডার্বি জয়ের অভ্যাস বজায় রাখলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। পাশাপাশি রয় কৃষ্ণও বড় ম্যাচে গোল করার অভ্যাস ধরে রাখলেন। আগেরবার আইএসএলের দুটো ম্যাচেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল হাবাসের এটিকে মোহনবাগান। গোয়ায় শনিবাসরীয় ডার্বিতেও তার ব্যতিক্রম হল না। বরং আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

তাও আবার বাগানের অন্যতম সেরা তারকা হুগো বৌমাস এদিন ছন্দে ছিলেন না। তাঁকে বিরতির পর তুলে নেন হাবাস। তবে হুগোর অফ ফর্ম বুঝতেই দিলেন না জনি কাউকো। গোটা ম্যাচে দাপিয়ে বেড়ালেন ইউরো খেলে আসা ফিনল্যান্ড দলের মিডফিল্ডার। তিনিই ম্যাচের সেরা।

এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ আরও অনেক বড় ব্যবধানে জিতলেও কিছু বলার ছিল না। প্রথম ২৩ মিনিটেই তিন গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ’৭৫-র পাঁচ গোলের বদলার স্বপ্ন উসকে দিয়েছিলেন কৃষ্ণরা। তবে ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত গোরকিপার শুভম সেন অন্তত দু’বার দলকে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে রক্ষা করলেন। একবার কৃষ্ণর পা থেকে শেষ মুহূর্তে ট্যাকল করে বল বিপন্মুক্ত করেন আদিল খান।

আরও পড়ুন-Basundhara Goswami: দলনেত্রীর আদর্শে ভোটপ্রচারে বসুন্ধরা

যদিও তার অনেক আগেই ম্যানুয়েল দিয়াজকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দলের অধিনায়ক তথা একনম্বর গোলকিপার অরিন্দম। ম্যাচের ৯ মিনিটে রয় কৃষ্ণর মাটি ঘেঁষা শট অরিন্দমের হাত থেকে ছিটকে বেরিয়ে এলে, কোনওরকমে বল বিপন্মুক্ত করেন রাজু। তবু ১২ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কৃষ্ণ। মনবীরের পাস ধরে লাল-হলুদের বক্সে ক্রস করেছিলেন প্রীতম কোটাল। চমৎকার প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বাগানের স্ট্রাইকার। এই নিয়ে টানা তিনটি ডার্বিতে গোল করলেন কৃষ্ণ।

দু’মিনিটেই ফের গোল। এবার বক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো শটে গোল করেন মনবীর। তবে শটে জোর থাকলেও, অরিন্দম যেভাবে ফার্স্ট বারে দাঁড়িয়েও গোল হজম করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ২৩ মিনিটে অরিন্দমের মারাত্মক ভুলে ফের গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। বক্সের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল গ্রিপ করতে পারেননি লাল-হলুদ অধিনায়ক। ছিটকে যাওয়া বল জালে জড়িয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। তিন গোল হজমের পর অরিন্দমকে তুলে নিয়ে শুভমকে নামিয়ে দিয়েছিলেন দিয়াজ।

বিরতির পর ডিফেন্ডার টমিস্লাভ মার্সেলাকে তুলে নিয়ে আমির দেরভিসেভিচকে মাঠে নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। দিয়াজ আরও চাপে পড়ে যান ৫৫ মিনিটে রাজু চোট পেয়ে উঠে গেলে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন আদিল। ৬০ মিনিটে সিডওয়েলকে তুলে নাইজেরীয় স্ট্রাইকার চিমাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মরিয়া দিয়াজ।
যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং তিন গোল হজমের কাঁটা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-হলুদকে। ডার্বি হারের ধাক্কা সামলে ইস্টবেঙ্গল কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Latest article