বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: কার্বনমুক্ত সবুজ দেশ ভুটান। ভারত লাগোয়া দেশে বারবার যেতে চান পর্যটকেরা। কিন্তু সমস্যা অতিরিক্ত ইউজার-ফি। এই অতিরিক্ত ফি কমানোর আরজি জানাচ্ছেন পর্যটকেরা। ফি কমানোর পরই করোনার ধাক্কা সামলে প্রায় আড়াই বছর পর সীমান্তের গেট গত ২৩ সেপ্টেম্বর খুলে দিয়েছে সে দেশের সরকার। কিন্তু আগের মতো ভারতীয়দের আর অবাধ প্রবেশের অনুমতি নেই ভারতের বন্ধু ড্রাগনের দেশে।
আরও পড়ুন-হাতছানি দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা
প্রতিবেশী দেশে একের পর এক একতরফা কর-নীতি নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমানসে। নভেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকে নতুন করে পথচারীদের ওপর আরও একটি কর চাপিয়েছে ভুটান, যার পোশাকি নাম ইউজার-ফি। এখন থেকে ভুটানের মাটিতে পা রাখতে হ’লে ভারতীয়দের মাথাপিছু গুনতে হবে দশ টাকা, এবং সঙ্গে সঙ্গে ফেরত এলেও আবারও গুনতে হবে দশ টাকা। নগদে অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ওই পথকর মেটানো যাবে। দিনে যতবার জয়গাঁ থেকে ফুন্টসোলিং অথবা ফুন্টসোলিং থেকে জয়গাঁয় কেউ যাতায়াত করবেন তত বারই মাথাপিছু দশ টাকা করে গুনতে হবে।
আরও পড়ুন-শতাব্দীপ্রাচীন জগদ্ধাত্রী কাটোয়া, কালনা, কেতুগ্রামে
প্রতিদিন ভারত থেকে ভুটানে পর্যটক ছাড়াও হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও দিনমজুর কাজের খোঁজে যান ফুন্টসোলিংয়ে। যাঁদের একটা বড় অংশ মুটে-মজদুর। স্বাভাবিক ভাবেই ভুটানের ওই একতরফা পথকর লাগু করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। বাণিজ্যিক মহলের তরফে, পথচারীদের জন্য ওই কর চালু করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। কালচিনি ব্লক চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্সের সম্পাদক রাকেশ পাণ্ডে বলেন— ‘আপাতদৃষ্টিতে দশ টাকা সামান্য হলেও, দিনভর বহু মানুষকে একাধিক বার এপার-ওপার করতে হয়। পথচারীদের জন্যেও কেন কর চালু করা হ’ল তা বোধগম্য হচ্ছে না। কেন্দ্র সরকার এই নিয়ে কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।