সংবাদদাতা, দুবরাজপুর : পুুকুর ভরাটের খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিল পুর কর্তৃপক্ষ। নবাবি আমলের ঐতিহ্যবাহী কাজিগড়ে একটি পুকুর একটু একটু করে ভরাটের কাজ চলছিল। তা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ধূমায়িত হওয়ার আগেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে। দুবরাজপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত সানাই ও রবীন্দ্রসদন সরকারি ভবনের সামনে এই কাজিগড়ের পুকুর।
আরও পড়ুন-হার্দিক-পন্থ জুটিতে আস্থা রাখছেন দ্রাবিড়
এখান থেকে পুরসভার দূরত্ব বড়জোর দুশো মিটার। অভিযোগ পেয়েই সোমবার দুবরাজপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের আধিকারিক উত্তরীয় চন্দ পুকুর ভরাটের সরেজমিনে তদন্ত করেন। বলেন, পুকুরের পাশে এক মাস্টারমশাই বাড়ি করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। বাড়ির ইট ও রাবিশ পুকুরে ফেলা হয়েছে। সেগুলো সত্বর তুলে নিয়ে বাড়ির মেঝে সোলিং করবেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, পুকুর ভরাট কোনওভাবেই বর্তমান সরকার বরদাস্ত করে না। পুরসভাও করে না। এর পিছনে যারা জড়িত, তাদের ছাড়া হবে না। ইতিমধ্যে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাবিশ পুকুর থেকে তুলে না নিলে আইন মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-শফিকের সেঞ্চুরিতে জয়ের হাতছানি
জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এলাকায় বেআইনিভাবে যত পুকুর ভরাটের কাজ চলছে, তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ, দুবরাজপুর এলাকায় পঞ্চাশের উপর পুকুর ভরাটের কাজ চলছে। পুরপ্রধান জানান, এলাকায় নতুন পাঁচটি পুকুর কাটা হয়েছে।