প্রতিবেদন : লোকাল ও দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন (Train) বাতিলের জেরে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। একদিকে কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে একের পর এক ট্রেন বাতিল হয়েছে। খেমাশুলি রেল স্টেশন অবরোধকারীদের হাতে অবরূদ্ধ। ৫ দিন ধরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর-টাটানগর সেকশনে রেল চলাচলও স্তব্ধ হয়ে আছে। দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন-সহ আপ-ডাউন মিলিয়ে এদিন বাতিল হয়েছে ৪১টি ট্রেন। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে এই লাইনে মোট ১৩০টি আপ-ডাউন মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত শিয়ালদহ সেকশনেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেলওয়ে। রেলের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশনে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য শনিবার ৮ এপ্রিল রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে রবিবার ৯ এপ্রিল রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ট্র্যাফিক ব্লক থাকবে। সেই জন্য ওই ১০ ঘণ্টায় শিয়ালদহ লাইনে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের তালিকায় রয়েছে নৈহাটি, বনগাঁ, কৃষ্ণনগর, ডানকুনি-সহ একাধিক লোকাল। সেই সঙ্গে পদাতিক, আজমেঢ় এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিকে শিয়ালদহের পরিবর্তে কলকাতা স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে প্রচণ্ড ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ট্রেনযাত্রীরা। রবিবারও ১২ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে শিয়ালদহ সেকশনে। ফলে মানুষের ভোগান্তি আজও জারি থাকবে। শনিবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়েন অনেকে। ট্রেন (Train) কম থাকায় অনেক ট্রেনেই ছিল ভিড়। সবমিলিয়ে রেলযাত্রীদের দুর্ভোগ চলছে। ট্রেন বাতিলের এই ধারাবাহিকতায় শহরতলি বা গ্রাম থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য আসা মানুষজনও গভীর সমস্যায়। অনেকেই অসুস্থ শরীর নিয়ে ভোররাতে এসে পৌঁছন শিয়ালদহ স্টেশনে। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আউটডোরে ডাক্তার দেখিয়ে দিনের শেষে ফিরে যান বাড়িতে। কিন্তু লোকাল ট্রেনের এই লাগাতার অনিয়মে তাঁদের অনেককেই রাত কাটাতে হচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশনে। যেসব রোগী হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছেন বিকেলের দিকে, তাঁরাও বাড়ি ফিরতে গিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন তাঁদের সঙ্গে আসা পরিজনরাও। সকলের একটাই প্রশ্ন, এই অনিয়মের শেষ কোথায়?
আরও পড়ুন- রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রহণ-পরিশোধের নয়া রেকর্ড