প্রতিবেদন : গোটা বাংলার মতো পাহাড়ের উন্নয়নও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র লক্ষ্য। এই উন্নয়নকে আরও তরান্বিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদেরও দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। পাহাড়েও এই প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের ভানুভবনে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শিবির শুরু হল। ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের মাননীয় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা, পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক ড. প্রীতি গোয়েল ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যম টি।
আরও পড়ুন-প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য প্রশাসন, মিথ্যে অজুহাতে আজব দাবি রাজ্যপালের
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দার্জিলিংয়ে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন হয়েছে ৪০ বছর পর। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে ২২ বছর পর। এই মুহূর্তে পাহাড়ে ঢালাও উন্নয়নের কাজ চলছে। জিটিএ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বাংলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির এবার পাহাড়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এককথায় বলা যায়, পাহাড় নতুন করে পথচলা শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। পুজোর সময় থেকেই শুরু হবে পাহাড়ের পর্যটনের মরশুম।
আরও পড়ুন-আধার-তথ্য সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের এখন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। তাঁরা দিন-রাত এক করে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন উন্নয়নের কাজে। লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসবেন এই সময়। তাঁদের যেন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পাহাড়ে পৌঁছে যান।
জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিত থাপা ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে লালকুঠিতে দীর্ঘ বৈঠক করেন। এরপর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভানুভবনে হয় প্রশিক্ষণ শিবির।