প্রতিবেদন : সাইবার অপরাধ দমনের (Combating cyber crime) ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ এবং অন্যান্য কমিশনারেটের তৎপরতা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো। একের পর এক সাইবার অপরাধচক্র ফাঁস হয়ে চলেছে লাগাতার পুলিশি অভিযানে। ভুয়ো কলসেন্টারের নাটের গুরুরা জালে পড়ছে পুলিশের। এই তৎপরতাকেই আরও গতি দিতে এবারে রাজ্যের মোট ৫০০০ বাছাইকরা পুলিশ আধিকারিককে এ ব্যাপারে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। লক্ষ্য, প্রতিটি থানায় অন্তত ৪ জন করে সাইবার অপরাধ দমনে পারদর্শী পুলিশকর্মী মোতায়েন। যাতে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলেই দ্রুত তদন্ত শুরু করে তার নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৫৪৫টি থানার মোট ৩০০০ পুলিশকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সামনের বছরে আরও ২০০০ জন প্রশিক্ষণের অপেক্ষায়। শুধু পুলিশ আধিকারিক বা কর্মীরা নন, সাইবার অপরাধ দমনের (Combating cyber crime) বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইনজীবীদেরও। পুরুলিয়া এবং আসানসোল মিলিয়ে প্রায় ৫০০ আইনজীবীর প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয়েছে। বাঁকুড়া এবং নদিয়ার আগ্রহী আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় পুলিশেরই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তথ্যের দাবি, কোভিড পিরিয়ড এবং তারপরে সাইবার অপরাধের প্রবণতা বেড় চলেছে দেশ জুড়ে। আসলে নেট-ব্যাঙ্কিং, অনলাইনে টাকা, তথ্যের আদানপ্রদান, বেচাকেনা, বিপণন যত বাড়ছে, ততই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সাইবার অপরাধ। লোক ঠকানোর নিত্যনতুন কৌশল বের করছে তারা। বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করছে মানুষকে। ঠিক এই জায়গাটাতেই জোর ধাক্কা দিতে নিজেদের আরও অত্যাধুনিক করে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে পুলিশ। সেইসঙ্গে সাইবার অপরাধ প্রতিহত করতে এথিকাল হ্যাকারের প্রয়োজনীয়তার উপরেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। গড়ে তোলা হচ্ছে গণচেতনাও।