প্রতিবেদন : কয়েকটা ডাকাত-গদ্দার দল থেকে বিদায় নিয়েছে, তাতে আমি খুশি হয়েছি। এই গদ্দার পুরুলিয়ার কোটার চাকরিগুলো দেয়নি। আদালতকে দু’পায়ে প্রণাম করে বলব, খোঁজ নিয়ে দেখুন। মঙ্গলবার মালদার গাজোলে সরকারি পরিষেবার মঞ্চ থেকে নাম না-করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-চুক্তিভঙ্গে কড়া ব্যবস্থা
আসলে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকেও গদ্দার শুভেন্দু যে শুধু নিজের আর পরিবার ছাড়া অন্য কারও জন্য কিছু করেননি মঙ্গলবার সে কথাই মালদায় স্পষ্ট করে বলে দিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেই চলেছেন। এদিন মালদার গাজোল কলেজ মাঠে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা এই তিন জেলার সরকারি পরিষেবা প্রদানের মঞ্চকে বেছে নেন এর জবাব দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এতদিন শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আমি কিছু বলিনি। মনে রাখতে হবে, কেউ অন্যায় করে থাকলে তার দায়িত্ব আমরা নেব না। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করা হয়েছে। নিজেদের দাবি আদায়ে ওরা রাস্তায় বসেছিল। আমি জানতে পেরে ওদের সঙ্গে কথা বলে সব ব্যবস্থা করি। এভাবেই নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নাম না-করে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুকে পুরুলিয়া-মালদা-মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে যা খুশি তাই করে গিয়েছেন। ভুগতে হয়েছে দল ও সরকারকে। কিন্তু সেসব এখন অতীত।
আরও পড়ুন-তিন জেলায় ট্যুরিজম সার্কিট
রাজ্যের প্রাপ্য নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করছে কেন্দ্র আর বঙ্গ বিজেপির জোকার নেতা-নেত্রীরা উঠেপড়ে লেগেছেন টাকা আটকানোর জন্য। বিশেষ করে এক্ষেত্রে দলবদলু গদ্দার লোডশেডিং অধিকারী মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। এ বিষয়েও তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা-আবাস যোজনার টাকা আটকে দাও বলছে। এরাই বাংলার গদ্দার, তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।