সবুজকে রক্ষায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রি-অডিট

পাশাপাশি গাছগাছালি বাঁচানোর প্রয়াস তো আছেই। অর্থাৎ একইসঙ্গে সবুজ এবং মানুষের সুরক্ষার লক্ষ্যে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের।

Must read

প্রতিবেদন : অভিনব তো বটেই, অবশ্যই বলা যেতে পারে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সবুজ বাঁচাতে এই উদ্যোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। ক্যাম্পাসে শুরু হচ্ছে ট্রি অডিট, ট্রি ম্যাপিং এবং জিআইএস ম্যাপিং। এখানেই শেষ নয়, তৈরি হচ্ছে নেচার ক্লাবও। লক্ষ্য, পড়ুয়াদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাছের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। সবমিলিয়ে ১৬০০ থেকে ১৮০০ তো হবেই। বিভিন্ন প্রজাতির এত গাছ একদিকে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে, তেমনই নির্মল করেছে পরিবেশকে। কিন্তু আমফান এবং পরে বেশ কয়েকটি বড় মাপের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু গাছ।

আরও পড়ুন-অভিযোগ মুক্ত ব্লাটার-প্লাতিনি

২০১৯-এ গাছের সংখ্যা এবং অবস্থা বুঝতে প্রথম ট্রি অডিট হয়। ৩ বছর পরে আবার অডিটের সিদ্ধান্ত। সঙ্গে সমীক্ষাও। এরজন্য তৈরি হয়েছে একটি কমিটি। বটানিস্ট, অধ্যাপক, গবেষক এবং অবশ্যই পুরসভার বিশেষজ্ঞরা থাকছেন এই কমিটিতে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গাছপালা, পাখি এবং কীট-পতঙ্গের সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচিতির লক্ষ্যে গড়ে উঠছে নেচার্স ক্লাবও। গাছের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বৃক্ষরোপণেও বিশেষ গুরুত্ব দেবে এই ক্লাব। কী বলছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু? তাঁর কথায়, ক্যাম্পাসে যেমন ১৬০০-১৮০০ গাছ আছে তেমনি এখানে যাতায়াত বহু মানুষেরও। ডালপালা পড়ে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে তার জন্য গাছগুলির সাম্প্রতিক অবস্থা জানাটা জরুরি। এরই পাশাপাশি গাছগাছালি বাঁচানোর প্রয়াস তো আছেই। অর্থাৎ একইসঙ্গে সবুজ এবং মানুষের সুরক্ষার লক্ষ্যে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের।

Latest article