প্রতিবেদন : রাজ্যপাল (Governor Cv Ananda Bose) এবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে নিজের চাকরি বাঁচানোর জন্য মাঠে নামলেন। বিজেপির (BJP) কথামতো রাজ্যের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শাসানির পথে হেঁটে শেষ পর্যন্ত বুঝিয়ে দিলেন তিনি আসলে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়িত করতেই এসেছেন, তা না হলে যখন বিএসএফের ১৮০টি ছররা গুলিতে নিরীহ রাজবংশী যুবকের নৃশংস মৃত্যু হয় তখন রাজ্যপাল আনন্দ বোসের বিবৃতি আসে না কেন! যখন বিএসএফ জওয়ান মহিলাকে ধর্ষণ করে তখনও রাজ্যপাল চুপ করে থাকেন কীভাবে! ফলে রাজ্যপালের (Governor Cv Ananda Bose) রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় জারি করা বিবৃতি আসলে রাজনৈতিক পক্ষপাত ছাড়া আর কিছুই নয়। রবিবার রাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কনফিডেনসিয়াল এনকোয়ারি’ প্রয়োজন। এর মানে কী? নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। এখানেও জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে কুণালের বক্তব্য, উনি নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলে বিজেপির এজেন্ডা অনুযায়ী বিবৃতি দিলেন। কিন্তু আসলে বাস্তব পরিস্থিতি কী ছিল! কী কারণে এই ঘটনা ঘটল! উল্টোদিকের কারো কথা শুনলেন না। একতরফা বিবৃতি দিলেন। বিজেপির দূত না হয়ে বাংলার মানুষের দূত হয়ে নিরপেক্ষ ভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করবেন রাজ্যপাল এটাই আশা করি আমরা তাঁর কাছ থেকে। স্পষ্ট বক্তব্য কুণাল ঘোষের। তাঁর সংযোজন, সিবিআই এফআইআরে যার নাম রয়েছে সেই নারদায় – সারদায় অভিযুক্ত – চোর – তোলাবাজ শুভেন্দুর সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করবেন আর রাজ্যের সরকারকে নীত কথা শোনাবেন এটা হতে পারে না। রাজ্যপালকে নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। রাজভবনকে আগের মতো বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়ে সুকান্ত মজুমদারদের কথায় চলবেন তা হবে না। তোপ কুণাল ঘোষের। রাজ্যপাল যদি নিজের সাংবিধানিক লক্ষণ রেখা না মেনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করেন তবে আমাদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। সাফ কথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।