হাওড়ার জেলার দক্ষিণ হাওড়া ব্লকের অন্তর্গত পাঁচপাড়ায় অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে প্রকাশ্য জনসভায় বিজেপি ও সিপিএম কে তুলোধনা তৃণমূল কংগ্রেসের। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া (সদর) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, হাওড়া (সদর) জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুষার কান্তি ঘোষ, দক্ষিণ হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, হাওড়া (সদর) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পার্থ বোস, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তিকা ব্যানার্জী, রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন – বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ বিজেপির
আমতায় আনিস খানের মৃত্যু তদন্ত চলাকালীন সিপিএম ও বিজেপির ইচ্ছাকৃত তদন্তে বাধা সহ করোনার পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করে কড়া আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতৃত্বরা। হাওড়ার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, ৩৪ বছরের সিপিএমের অত্যাচারের ইতিহাস কেউ ভুলে যায়নি। নোংরা রাজনীতি ও মানুষের উপর অত্যাচারের জন্যই সিপিএম কে আজ শূন্যে পরিণত হতে হয়েছে, আগামীদিনে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এরপর দেবাংশু শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি বা আমরা যারা তৃণমূল কংগ্রেস করি তারা একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে গর্ব করতে পারব। নাতি নাতনিদের বলতে পারব আমরা এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী দেখেছিলাম যিনি গরিবের কষ্ট অনুভব করতে পারার জন্য এখনও কুঁড়ে ঘরে থাকেন। আর আমরা এমন একজন বিরোধী দলনেতা দেখেছিলাম যিনি লোডশেডিং -এ ভোটে যেতেন’। এরপরই ‘খেলা হবে’ স্লোগানে মেতে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মীরা। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তিকা বলেন, ‘২০২১ -এ খেলা শুরু হয়েছে, এবার শুধু বাংলায় খেলা হবে না – ত্রিপুরা, গোয়া, তামিলনাড়ু সহ বিভিন্ন রাজ্যে খেলা হবে আর এই খেলা শেষ হবে ২০২৪ শে দিল্লি তে।’ তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাদের কটাক্ষ করে সায়ন্তিকা বলেন, ‘টাকা দিয়ে বিজেপি নেতা কেনে আর সেই টাকা ফুরিয়ে গেলে আবার তৃণমূলে ফিরতে চায়। এইসব নেতারা আসলে সুবিধার জন্য এরা রাজনীতি করে।’