বিজেপি(BJP) শাসিত ত্রিপুরা(Tripura) রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে অনেকদিন থেকেই প্রতিবাদ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ আড়াই বছরে এখানে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করার মতন বেড়েছে। কিন্তু এই ইস্যুতে নিষ্ক্রিয় রাজ্য প্রশাসন। এদিন ত্রিপুরার গান্ধী ময়দান থেকে আগরতলা রবীন্দ্র ভবন পর্যন্ত এই মিছিল হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বে উপস্থিতিতে ।
সোমবার আগরতলায় তৃণমূল দফতরে শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের দফায় দফায় বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা, ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পান্না দেব, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পূজন বিশ্বাস-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিপুরা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে।বিগত আড়াই বছরে ২০০০-এর ওপর মহিলাদের ওপর অত্যাচার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮১ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে নাবালিকাদের ওপর ধর্ষণ, মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে সেখানে প্রশাসন নির্বিকার। শাসক দল যেভাবে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তার বিরুদ্ধে আজ প্রতিবাদে নামছি আমরা। আজ ১৪ নভেম্বর আগরতলা জুড়ে মহামিছিল হবে, অবরোধ করা হবে এবং রবীন্দ্র ভবনের সামনে জনসভা হবে। ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল, ‘এগিয়ে বাংলা’, ‘এবার এগোবে ত্রিপুরা’-আমরা এই প্রচারকে সামনে রেখে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচার শুরু করব। গত ১ তারিখ থেকে ৬ তারিখ অবধি রাজ্যের প্রত্যেক বিধানসভায় প্রত্যেক বাড়িতে জনমত সংগঠিত করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন-“দিল্লির টাকা বাংলায় চাই না”, ফের বকেয়া টাকা নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, “২০১৮ তে যখন ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা রাজ্যে আসে ওরা একটা ভিশন ডকুমেন্ট দিয়েছিল সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু বিগত সাড়ে চার বছরে ভারতীয় জনতা পার্টি ৯০ শতাংশ কাজ করতে পারেনি। প্রত্যেক প্রতিশ্রুতি যেটা পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, প্রত্যেকটা প্রকল্প আজকে পশ্চিমবাংলায় চলছে। ত্রিপুরায় আমরা কী দেখছি ? মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পোস্টার যেখানে সুশাসনের কথা বলছে, সেখানে কীসের সুশাসন? ৯ দিনের মধ্যে যেখানে ৪টে গণধর্ষণ হয়, ২ জন যুবক রেস্তরাঁয় খেতে গেলে বেড়াবার সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এটা সুশাসন?”