মঙ্গলবার, নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে বিরোধী দল বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল বামেরাও। ২০২৪-এ দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরিয়ে ফেলার কথা স্পষ্ট করেই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপিকে সরাতে পথ দেখাবে বাংলাই।” ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে হলে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে বাংলার মেসি : জয়প্রকাশ মজুমদার
মমতা বলেন, রাম-বাম মিলে ভাবছে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হটিয়ে কাজে আসবে। সেই কারণেই দেউচাপাঁচামি মতো উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছে। রাজ্যে দাঙ্গা লাগানোর জন্য গোপন বৈঠক করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির একটা সেকশন পা তুলে নেচে বেড়াচ্ছে। ভাবছে তৃণমূল দুর্বল হয়ে গেছে তা নয়। তিনি বলেন, আগামী 50 বছরের রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না তারা। তারা যা করেছে তা কেউ ভুলে যায়নি। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ২০২১-এ বিজেপি বলেছিল “আব কি বার ২০০ পার”। এখন সব জায়গায় ওরা হারছে।
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতেও যেদিন বিকল্প তৈরি হবে, সেদিন বিজেপির ঘুঘুর বাসা আর থাকবে না। কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাবের আলোয় আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য রাজীবের
গোয়ায় তিনমাসে ঘরে ঘরে তৃণমূল কংগ্রেস পৌঁছেছে। সংগঠন মজবুত করা হয়েছে। উত্তর-পূর্বের নজর দিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা-মেঘালয় সব জায়গাতেই সংগঠন মজবুত করতে দলের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান মমতা। ত্রিপুরা (Tripura) তৃণমূলের নতুন ইনচার্জ করা হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rajiv Bandyopadhyay)। মেঘালয়তে তৃণমূলের নতুন ইনচার্জ মানস ভুঁইয়া (Manas Bhuiya)। কো-ইনচার্জ সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)।
আরও পড়ুন-৫ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জনসংযোগ যাত্রার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
উত্তর প্রদেশ সম্পর্কে তৃণমূল সুপ্রিমো জানেন, ইউপিতে গিয়েছিলাম। অখিলেশরা খুব সম্মান দিয়েছে। যেখানে যেরকম সুবিধা হবে যাব। সব জায়গায় লড়াই করতে হবে তা নয়।