তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকে গুলি, পুরভোটের আগেই হিংসা বিজেপির

Must read

সংবাদদাতা, দিনহাটা : ফের প্রকাশ্যে এল বিজেপির নোংরা রাজনীতি। ওয়ার্ড হাতছাড়া হওয়ায় হিংসার পথ বাছল পদ্ম। জয়ী প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্য দিবালোকে চলল গুলি। আর অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে সারাদিন আগলে রাখল কেন্দ্রীয়বাহিনী। যার জেরে শনিবার বেলায় চাঞ্চল্য ছড়াল দিনহাটায়। পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের ( Trinamool Congress) নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মিঠু দাসের স্বামী তাপস দাসকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। তাঁর তলপেটে গুলি লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়েই হাসাপাতেল পৌঁছান বিধায়ক উদয়ন গুহ। এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা অজয় রায় যুক্ত বলে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে। এই অজয় দাসই উদয়ন গুহর ওপরও হামালায় অভিযুক্ত। সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। তারপরই ফের নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের ( Trinamool Congress) কাউন্সিলরের স্বামীর ওপর হামলা। জখম বিজু দাসও একজন সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে জানা গিয়েছে। সাত নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা তিনি।

আরও পড়ুন – ABG শিপইয়ার্ড দুর্নীতিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সুখেন্দুশেখরের

এদিন সকালে স্কুটি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই কয়েকজন বিজেপি কর্মী তাঁর রাস্তা ঘিরে ধরেন। উত্তপ্ত কথোপকথনের মধ্যেই অভিযুক্ত অজয় রায়ের বাড়ি থেকে চালানো হয় গুলি। তখনই তলপেটে গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বিজু। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিধায়ক উদয়ন গুহর নেতৃত্বে দিনহাটা থানার সামনে জড়ো হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। বিধায়ক বলেন, “তাপস দাসের শরীর থেকে গুলিটা বের করা সম্ভব হয়নি। ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছু বলা যাবে না বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’’ এরপরই তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা অজয় রায়ের বাড়ির ভেতর থেকে গুলি চালানো হয়েছে। তাকে ৭ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বা়ড়ি পাঠানো হয়েছে। তার নিরাপত্তারক্ষীদেরও গ্রেফতার করা উচিত। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলেনর পথে নামব আমরা। শুধু দিনহাটা নয় কোচবিহার জেলা জুড়ে এর প্রতিবাদ জানানো হবে।” অভিযুক্ত বিজেপি নেতা প্রতিনিয়ত সমাজবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় দাদাগিরি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। বিজেপির এই হিংসার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সামলোচনার ঝড়।

Latest article