সংবাদদাতা, হাওড়া : সাঁতরাগাছিতে রেলের উচ্ছেদ অভিযান রুখলেন বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি। সাঁতরাগাছি স্টেশনের কিছুটা পিছন দিকে হাওড়া পুর এলাকার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকশো পরিবার ও সংলগ্ন এলাকার দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হাজির হয়েছিলেন আরপিএফের পদস্থ অফিসার ও জওয়ানরা। ছিলেন রেলের অফিসাররাও। এলাকার ৫০০র বেশি মানুষকে রেলের তরফ থেকে এইভাবে উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছন বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি।
আরও পড়ুন-বেড অমিল জনস্বার্থ মামলা
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে রেলের এইভাবে মানুষকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও ধরনা প্রদর্শন করা হয়। সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উচ্ছেদ করতে আসা আরপিএফ ও রেলের কর্তাদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়েই কথা বলেন নন্দিতা চৌধুরি। বিধায়ক রেল কর্তাদের সাফ জানিয়ে দেন, ওই মানুষগুলো ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। তাঁদের বৈধ সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। কোনওরকম উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া তাঁদের এইভাবে উচ্ছেদ করা চলবে না। জোর করে উচ্ছেদ করতে গেলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন বলেও এলাকার বাসিন্দা ও দোকনদাররা রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-অনলাইনে প্রতারণা, ধৃত ১ উদ্ধার দু’হাজার সিমকার্ড
বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি রেলের অফিসারদের বলেন, কীরকম পুনর্বাসন দেওয়া হবে তা আগে জানাতে হবে। উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া একজনকেও উচ্ছেদ করা যাবে না বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এই ব্যাপারে এলাকার মানুষের লিখিত বক্তব্য শীঘ্রই দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে জমা দেবন বলে বিধায়ক জানান। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরির প্রতিবাদের মুখে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ পরে ফিরে যেতে বাধ্য হন রেলের অফিসার ও আরপিএফ জওয়ানরা। পরে নন্দিতা চৌধুরি জানান, ‘‘এলাকার মানুষের পাশে সবসময় আছি। রেলের তুঘলকি আচরণ আমরা কিছুতেই মানব না। যথার্থ পুনর্বাসন ছাড়া একজনকেও এখান থেকে উচ্ছেদ করা চলবে না।’’