অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বন্ধ হয়ে থাকা দুর্গাপুরের সার কারখানাটি অবিলম্বে খোলা না হলে এবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দেশে ক্রমবর্ধমান সারের দামে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ কৃষকদের। এই অবস্থায় বন্ধ হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কারখানাটি পুনরুজ্জীবিত করে সারের আকাল মেটানোর দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় দু’দশক আগে এনডিএ সরকার বন্ধ করে দেয় এই সার কারখানাটি।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি
উন্নত পরিকাঠামোর এই কারখানাটি আবার চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। কিন্তু বিজেপির দেওয়া হাজার প্রতিশ্রুতির মতো সেই প্রতিশ্রুতির ফানুসও বাতাসে মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। এদিকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সারের আকাল। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুরের বন্ধ থাকা ‘হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন লিমিটেড(এইচএফসিএল)’-র ইউনিটটি খোলার দাবি তুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন’ স্থাপনের পরই শিল্পাঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সার কারখানাটি খোলার ব্যাপারে আশার আলো দেখা যায়। কিন্তু পাইপলাইন স্থাপনের পর দেড় বছর কেটে গেলেও এ ব্যাপারে কোনওরকম অগ্রগতি দেখা যায়নি। তৃণমূলের তরফ থেকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক গিমিক বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে কমবে তাপমাত্রা
বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দোভি-দুর্গাপুর পাইপলাইনের প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেই এইচএফসিএল কারখানাটিকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে সাংসদের সেই প্রতিশ্রুতির কানাকড়ি মূল্যও মোদি সরকার দেয়নি। তবে দুর্গাপুরের এই কারখানাটি খোলার ব্যাপারে এর আগেও বহুবার জল্পনা উসকে দিয়েছেন কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু সবই ফাঁকা বুলি। তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাশন দাশু জানিয়েছেন, ‘‘কারখানা খোলার জন্যে প্রয়োজনে সংসদের বাইরে ধরনাও দেব আমরা।”