স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সমন্বয়ক মর্জিনা বিবি বলেন, মূলত দুঃস্থ মহিলারাই এই কাজ করেন। সকাল থেকে দুপুর দুটো কাজ। ২৫০ টাকা মজুরি।

Must read

দেবর্ষি মজুমদার, দুবরাজপুর: বীরভূম জেলা পরিষদ, দুবরাজপুর ব্লক ও সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে দুবরাজপুরের সাহাপুর পঞ্চায়েতের চণ্ডীদাসপুর মৌজায় অ্যাশ ব্রিকস বা ছাই ইট প্রকল্প গড়ে উঠেছে। দুঃস্থ মানুষ সারাবছর কাজ পাচ্ছেন। বক্রেশ্বরের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দূষণকারী ছাই দিয়েই হচ্ছে ইট। দীর্ঘদিন কেন্দ্রের বঞ্চনায় একশো দিনের কাজ বন্ধ, তাই জেলা পরিষদ বিকল্প অর্থনীতির কথা ভেবে স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় দূষণমুক্ত ইট তৈরির কারখানার কথা ভাবে। এতে একদিকে দূষণকারী ছাই কাজে লাগছে, তেমন সারাবছর মানুষ কাজ পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন-নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে কমবে তাপমাত্রা

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সমন্বয়ক মর্জিনা বিবি বলেন, মূলত দুঃস্থ মহিলারাই এই কাজ করেন। সকাল থেকে দুপুর দুটো কাজ। ২৫০ টাকা মজুরি। দৈনিক আড়াই হাজার ইট তৈরি হয়। গুণমানের শংসাপত্র আছে। কিছুদিন আগে বিডিওর মাধ্যমে একজন ৩০ হাজার ইট কিনেছেন। এখন দু’লাখ মজুত আছে। প্রতিদিন ১৫ জন মহিলা কাজ করেন। বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন, এই কারখানায় কাজ করে মানুষ দুটো পয়সার মুখ দেখছে।
সাহাপুর পঞ্চায়েত প্রধান হায়াতুন্নেসা খাতুন বলেন, জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে ছাইয়ের ইট। এখানে সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া। হাইস্কুল দুটো। ১৮ গ্রামের পঞ্চায়েত, ১৩টি সংসদ। এ বছর বেড়ে ১৬টি হয়েছে। প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৮, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তিন। কুইঠা গ্রামে আরেকটি হবে। প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে গিয়েছে।

Latest article