সংবাদদাতা, কাটোয়া : সিপিএমের কৃষকবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১১ জন তৃণমূল সমর্থক কৃষকের। অভিযোগ ওঠে ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালের ১২ নভেম্বরের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পিছনে ছিল সিপিএমেরই চক্রান্ত। সেদিন খবর পেয়ে কালনা ১ ব্লকের সূর্যপুর গ্রামের মৃত কৃষকদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল নেতা তৎকালীন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ।
আরও পড়ুন-দেব সেনাপতি কার্তিকের ইতিবৃত্ত
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন মুকুল রায়, সুলতান আহমেদরা। তাঁদের তত্ত্বাবধানে দাহ ও সমাধিস্থ করা হয় দেহ। তৃণমূলের উদ্যোগে গ্রামে বসে শহিদ বেদি। তারপর থেকে ফি-বছর ১২ নভেম্বর সূর্যপুর হাজির হয়ে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। শনিবারও শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বলেন, ‘সিপিএমের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১ টাকার সদস্য হয়ে যাঁরা তৃণমূলের সরকার গড়েছেন, তাঁদের কোনওদিন ভুলব না। খেয়াল রাখতে হবে ১১ শহিদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।’
আরও পড়ুন-গুজরাত ভোটে এবার দুঃস্বপ্ন তাড়া করছে জঞ্জাল পার্টিকে
বর্ধমানেও দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রক্তদান মেলা’য় যোগ দিয়ে সূর্যপুরের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যে রক্ত দিলেন তা সূর্যপুরের মৃত কৃষকদের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল।’ সিপিএমের সঙ্গে বিজেপি-কে একই বন্ধনীতে রেখে স্বপনবাবু বলেন, ‘সিপিএমের মতোই বিজেপিও কৃষি ও কৃষকবিরোধী কাজকারবার চালাচ্ছে। কেন্দ্রের কৃষকবিরোধী অবস্থানে নাভিশ্বাস কৃষকদের। তাঁদের স্বার্থে কিসান মাণ্ডি, কৃষকবন্ধু প্রকল্প, শস্যবিমা, ভাতা, ফসলের ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি চালু করে কৃষকবান্ধব কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষক দরদি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।’