প্রতিবেদন : দলের সংগঠনকে আরও মজবুত-ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় সুনিশ্চিত করতে হবে। শুক্রবার কালীঘাটে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে ডেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বেশকিছু সাংগঠনিক নির্দেশও দিয়েছেন নেত্রী। এই জেলার সংগঠন এখন নেত্রী নিজেই দেখছেন।
আরও পড়ুন-সিপিএম জমানায় সীমাহীন দুর্নীতি শ্বেতপত্র প্রকাশের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেলা নেতৃত্বকে দিদির দূত কর্মসূচিকে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কালীঘাটে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আগামী ২৯ ও ৩০ মার্চ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলকাতায় আম্বেদকরের মূর্তির সামনে টানা আটচল্লিশ ঘণ্টার ধরনায় বসবেন, তখন রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে ওই একই সময়ে ধরনা চালিয়ে যাবেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। একইসঙ্গে ২৯ মার্চ কলকাতায় শহিদ মিনারে হবে ছাত্র-যুব সমাবেশ।
আরও পড়ুন-রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল, কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলনেত্রী ও অভিষেকের
এদিনের বৈঠকে বীরভূম জেলা নেতৃত্ব ও কোর কমিটির সদস্য ছাড়াও এই জেলার অঞ্চল সভাপতি ও বিভিন্ন সাংগঠনিক নেতাদের ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর আড়াইটেয় বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। আগে এই জেলায় ৭ জনের কোর কমিটি ছিল। এদিনের বৈঠকে দলনেত্রী আরও দু’জনকে কোর কমিটিতে যুক্ত করেন। এখন থেকে দলনেত্রীর নির্দেশে জেলা কমিটি মাসে একবার এবং কোর কমিটি সপ্তাহে একবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবে।
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস নেতারা
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত জেলার অঞ্চল সভাপতিদের কাছে সুবিধা-অসুবিধা জানতে চান দলনেত্রী। মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব বীরভূম জেলার সাংগঠনিক লিয়াজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই জেলার বিভিন্ন সভা ও অন্যান্য কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নারায়ণ চক্রবর্তীকে কোর কমিটিতে এনে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন নেত্রী। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বীরভূম জেলা আমার ‘ঘর’। আমি আবার বীরভূমে যাব খুব শিগগিরই। প্রয়োজনে তোমাদের আবার ডাকব এখানে। এরপর বীরভূমের নেতৃত্ব একযোগে নেত্রীকে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল ভাল ফল করবে। আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে সাংগঠনিক কাজ করব।