ত্রিপুরা উপনির্বাচন: দিলীপ-লকেট-সুকান্ত থাকলেও তারকা প্রচারকের তালিকায় বাদ শুভেন্দু অধিকারী

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে গুরুত্ব কমছে শুভেন্দুর?‌ আর তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে

Must read

বছর পেরোলেই হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ত্রিপুরার চারটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। অপশাসন ও অপদার্থ লুকোতে বিধানসভা ভোটের মাত্র ১০ মাস আগে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়ছে তথাকথিত ভদ্রলোক মানিক সাহাকে। কিন্তু পরিবর্তন শুধু ওটুকুই। বাস্তবে নতুন বোতলে পুরনো মদ!

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার পর জমি খুঁজতে কোনও কসুর বাদ রাখছে না শাসক দল বিজেপি। তার উপর টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

যেহেতু বিজেপি বিরোধী ও বিকল্প শক্তি হিসেবে তৃণমূল রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই পুরভোট থেকে শুরু করে ঘনঘন ত্রিপুরায় পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই যথেষ্ট চাপে গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন- ঘুরপথে গ্যাসের দাম বাড়াল দিল্লি

অভিষেককে আটকাতে একদিকে যেমন লাগামছাড়া সন্ত্রাস কায়েম করেছে বিজেপি, ঠিক অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপনির্বাচনের জন্য উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একঝাঁক দলীয় সাংসদকে। ত্রিপুরার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। যেখানে বাংলা থেকে রয়েছে একাধিক মুখ। রাজ্য ও ভিনরাজ্য মিলিয়ে মোট ৪০জন নেতা-নেত্রীর নাম তারকা প্রচারক তালিকায় প্রকাশ করেছে বিজেপি। যেখানে বাংলা থেকে রয়েছেন বাংলার নেতাদের মধ্যে তালিকার শীর্ষে রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এরপর একে একে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত মজুমদার, এমনকী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে তারকা প্রচারকের তালিকায়। কিন্তু নাম নেই বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধীকারীর নাম।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে গুরুত্ব কমছে শুভেন্দুর?‌ আর তা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকে বলছেন শুধুমাত্র সাংসদ ও বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা নেতা-নেত্রীদেরই ত্রিপুরা উপনির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। কিন্তু এখানেও প্রশ্নচিহ্ন!

দিলীপ ঘোষ সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নেতা। লকেট সাংসদ। নিশীথ প্রামানিক কেন্দ্রের মন্ত্রী। সুকান্ত সাংসদ হলেও রাজ্য নেতা। আবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে সাংসদও নয় আবার কেন্দ্রীয় নেত্রী নন। তাহলে রূপা জায়গা পেলেও, তার থেকে অনেক ভোকাল শুভেন্দু নয় কেন? রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে দলে গুরুত্ব কমেছে শুভেন্দুর। তবে বিরাট একটি অংশ মনে করছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের জন্য পয়া শুভেন্দু।

আরও পড়ুন- বুলডোজার-কাণ্ডে যোগী সরকারকে সুপ্রিম নোটিশ

তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিজেপির জন্য অপয়া শুভেন্দু। যে কোনও নির্বাচনের প্রচারে শুভেন্দু যেখানে যেখানে পা রেখেছেন, সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। এমনকী নিজেদের দখলে রাখা আসনের প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে ফলাফলে ডুবিয়েছেন তাঁকে। তাই আর যাইহোক অপয়া শুভেন্দুকে দিয়ে প্রচার করতে নারাজ ত্রিপুরা বিজেপি।

 

Latest article