প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও পশ্চিমবঙ্গে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার একটি আদালতে চার্জশিট পেশ করল ত্রিপুরা পুলিশ। অমরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুণালের নামে সমন ইস্যু করেছেন। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করতে না পেরে অবান্তর মামলা দায়ের করে হেনস্তার স্পষ্ট চেষ্টা ত্রিপুরা বিজেপি সরকারের কর্মকাণ্ডে।
আরও পড়ুন-ভোটার কার্ড ও আধার সংযুক্ত না হলে চলে যাবে নাগরিক অধিকার!
প্রসঙ্গত, মা সীতার পাতালপ্রবেশের কথা তুলে সীতার মানসিক যন্ত্রণার কথা বলেছিলেন কুণাল। তাঁর বক্তব্য ছিল, জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। রামরাজ্যে অপমানিত হয়ে সীতাকে প্রথমে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়। এরপর পাতালপ্রবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যত আত্মহনন করেন তিনি।
আরও পড়ুন-ভোটার কার্ড ও আধার সংযুক্ত না হলে চলে যাবে নাগরিক অধিকার!
এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই হাস্যকর পদক্ষেপ করে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া বিজেপি সরকার। ধর্মে আঘাত করার মিথ্যা অভিযোগ এনে একাধিক মামলা করে ত্রিপুরা পুলিশ। কুণাল নিজে সশরীরে প্রতিটি থানায় জেরার মুখোমুখি হন। এই প্রসঙ্গে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরতে তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন রামায়ণের বিভিন্ন সংস্করণ ও গবেষণাগ্রন্থও। কুণাল বলেন, তিনি নিজে হিন্দু। কোনও ধর্মকে আঘাতের কোনও উদ্দেশ্যই তাঁর ছিল না। যারা রামের নাম নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনীতি করছে, তাদের জন্য সীতার পরিণতির প্রশ্নটাই তুলে ধরেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-নীতি বদলের ডাক
২০২১ সালের ১২ নভেম্বর ত্রিপুরার বাগমা ফাঁড়িতে পুলিশের মুখোমুখি হয়েছিলেন কুণাল। ছ’মাস পর এই সংক্রান্ত মামলাতেই এখন চার্জশিট দিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। আদালত কুণালকে ৩০ মে সকালে এজলাসে উপস্থিত থাকার জন্য সমন পাঠিয়েছে। কুণাল বলেছেন, রাম তো সকলের কাছে শ্রদ্ধেয়। সেখানে প্রতিপক্ষের উপর সন্ত্রাসের সময়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে রামকে কলঙ্কিত করেন যাঁরা, তাঁরা আগে মা সীতার অপমান আর পাতালপ্রবেশের ব্যাখ্যা দিন।