প্রতিবেদন : গত কয়েকদিনে কোনও কারণ ছাড়াই একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছে ট্যুইটার। এ ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রসংঘ (Twitter- United Nations)। সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে ট্যুইটার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে বলে মনে করছে রাষ্ট্রসংঘ। পাশাপাশি এই ঘটনার জেরে ট্যুইটারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউয়ের এই হুমকি নিশ্চিতভাবেই এলন মাস্ককে বড় ধরনের সমস্যায় ফেলবে।
শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের (Twitter- United Nations) মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের (Antonio Guterres) মুখপাত্র স্তেপান দুজারিক (Stephane Dujarric) জানান, সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করায় বিষয়ে মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এলন মাস্কের এই সিদ্ধান্ত একটি ভয়ঙ্কর বিষয়। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছে ট্যুইটার। সাংবাদিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে কার্যত সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছেন মাস্ক। এই ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যে প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চ নিজেকে বাক স্বাধীনতার পক্ষে বলে দাবি করে সেখানে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ কখনওই কাম্য নয়। গোটা বিশ্বেই এখন সংবাদকর্মীদের উপর সেন্সরের খাঁড়া নেমেছে। হামলার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন-কিয়েভে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল রাশিয়া
সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে ইউরোপেও প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, ট্যুইটারকে অবশ্যই ইইউয়ের নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম না মানলে ট্যুইটারকেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জাউরোভা বলেছেন, সাংবাদিকদের নির্বিচারে সাসপেন্ড করা চিন্তাজনক বিষয়। এর ফলে ট্যুইটারকে জরিমানা করা হতে পারে।