মাস্কের বক্তৃতার মাঝেই পদত্যাগ, উঠে গেলেন ট্যুইটারের কর্মীরা

ট্যুইটারের মালিকানা হাতে পেয়েই কর্মী সংকোচন শুরু করেছিলেন এলন মাস্ক। সংস্থার কর্মীদের রীতিমতো হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি।

Must read

প্রতিবেদন : ট্যুইটারের মালিকানা হাতে পেয়েই কর্মী সংকোচন শুরু করেছিলেন এলন মাস্ক। সংস্থার কর্মীদের রীতিমতো হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে কর্মীদের দিনরাত অফিসেই থাকতে বাধ্য করার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকী, কর্মীরা তাঁর শর্তে কাজ করতে রাজি আছেন কি না তা জানতে চান মাস্ক। এবার তারই পাল্টা জবাব দিতে শুরু করলেন ট্যুইটারের কর্মীরাও।

আরও পড়ুন-চলন্ত ট্রেন থেকে জওয়ানকে ধাক্কা টিকিট পরীক্ষকের

৫০ শতাংশ ছাঁটাইয়ের পর যাঁদের চাকরি টিকে গিয়েছিল তাঁরাও এবার গণইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে ট্যুইটারের অফিস বন্ধ করে দিতেও বাধ্য হয়েছেন টেসলা কর্তা। মাস্কের প্রশ্নের জবাব অনেকেই দেননি। যে সমস্ত কর্মী কোনও উত্তর দেননি শুক্রবার তাঁদের নিয়ে জরুরি মিটিং করছিলেন ট্যুইটার কর্তা। মিটিংয়ে মাস্ক যখন বক্তব্য রাখছিলেন সে সময় বেশিরভাগ কর্মী মিটিং রুম ছেড়ে চলে যান। অনেকেই মাস্কের মুখের উপর ছুঁড়ে দেন তাঁদের ইস্তফাপত্র। সূত্রের খবর, ট্যুইটার সংস্থার ইন্টারনাল চ্যাট গ্রুপে স্যালুট ইমোজি ও বিদায়ের বার্তা ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা চাকরি ছাড়তে শুরু করেছেন। কর্মীরা সাফ জানিয়েছেন, সংস্থার মালিক তাঁদের যে শর্তে কাজ করতে বলেছেন সেটা তাঁরা মেনে নেবেন না। এ জন্যই তাঁরা চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য

এদিকে, কর্মীরা গণইস্তফা দিতেই সংস্থার অন্দরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ঘটনার জেরে আগামী সোমবার পর্যন্ত সংস্থার প্রধান অফিস-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে দফতর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারা থাকবেন আর কারা চাকরি ছাড়ছেন, তা সোমবারের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

Latest article