গদ্দারের নন্দীগ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপির অন্দরে ঝড়, প্রকাশ্যে বিদ্রোহ দুই বিজেপি নেতার

নন্দীগ্রামের দুই গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা যেভাবে বিদ্রোহ করলেন তাতে দলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Must read

সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : বিজেপির নন্দীগ্রাম ১ উত্তর মণ্ডলের সহ-সভাপতি দিলীপ মণ্ডলের তৃণমূলে যোগদানের রেশ কাটতে না কাটতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল এবং নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী সত্যজিৎ মণ্ডলের বিদ্রোহে রীতিমতো শোরগোল বিজেপির অন্দরে। গদ্দারের এলাকায় আদি ও নব্য বিজেপির ইগোর লড়াইয়ে কার্যত বিপর্যস্ত বিজেপি শিবির।

আরও পড়ুন-জিতলে সিরিজ, ইন্দোরেও বৃষ্টির আশঙ্কা, আজ ফের ভারত-অস্ট্রেলিয়া

প্রথমজন প্রলয় পালের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জেলা বিজেপির অন্দরমহলে রীতিমতো ঝড় উঠেছে। নন্দীগ্রাম ভূমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা প্রয়াত নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ এবং তাঁর পরিবার যেভাবে দলের সভা বয়কট করেছেন, তাতে গদ্দারের নন্দীগ্রামে আদি-নব্য বিজেপির লড়াইয়ের চোরা স্রোত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২৬ জনের তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটি শুক্রবার প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রলয় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ভাল থেকো রাজনীতি। আর নয়, দাও বিদায়।’ সংবাদ মাধ্যমকে প্রলয় জানিয়ে দেন, ‘জেলা সভানেত্রীকে ফোন করে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছি। শনিবার তাঁকে ইস্তফা দেব।’ পাশাপাশি শুক্রবার নন্দীগ্রামে নিশিকান্ত মণ্ডলের স্মরণসভার আয়োজন করে মুখ পুড়েছে বিজেপির। নিহত নেতার ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী। তা সত্ত্বেও তিনি দলের তরফ থেকে ডাকা বাবার স্মরণসভা বয়কট করেন।

আরও পড়ুন-বুক ফুলিয়ে গর্ব করব না লজ্জায় মুখ লুকোব

শুধু তাই নয়, স্মরণসভা শুরুর আগে নিহত নেতার পরিবার ও নিশিকান্ত মণ্ডল স্মৃতি মানবসেবা সদনের পক্ষে পোস্টার সাঁটিয়ে নিশিকান্ত মণ্ডলের খুনি কে সেই প্রশ্ন তোলা হয়। বিজেপির কর্মীরা সেই পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। প্রলয় গেরুয়া শিবির ছাড়তে চান নতুন জেলা কমিটিতে থাকা পবিত্র করের বিরুদ্ধেই সরব হয়ে। নতুন কমিটির কয়েকজন পদাধিকারীর বিরুদ্ধেও তাঁর অসন্তোষ। নতুন কমিটিতে নব্য বিজেপিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে ঠাঁই হয়নি প্রাক্তন জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের। সেখানে দলবদলুদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হলেও নিশিকান্তবাবুর ছেলে সত্যজিৎকে কোনও স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ করেনি বিজেপি। এ-নিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। নন্দীগ্রামের দুই গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতা যেভাবে বিদ্রোহ করলেন তাতে দলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Latest article