প্রতিবেদন : ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও দেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া এখনও সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় অবহেলার পাশাপাশি রেলের নজিরবিহীন গাফিলতি দেখা যাচ্ছে এক্ষেত্রেও। সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বরের এইমস (Coromandel express accident- AIIMS) হাসপাতালে এখনও থরে থরে পড়ে রয়েছে বহু দেহ। সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ২৯ জনের দেহ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে বলে খবর। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষা করে একাধিক মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তারপরও একাধিক দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আর তা সামনে আসতেই কেন্দ্রের চরম গাফিলতির ছবি ফের সামনে এল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে মোদি সরকার। কেন্দ্রের অসংবেদনশীল আচরণ নিয়ে সরব যাত্রীরাও।
এইমস-এর তরফে জানানো হয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel express accident- AIIMS) দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৬২ জনের দেহ পাঠানো হয়েছিল ভুবনেশ্বর এইমসে। সেখানেই প্রথম দফার ডিএনএ পরীক্ষার পর ৮১ জনের দেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে দ্বিতীয় দফার ডিএনএ পরীক্ষার পর ৫২ জনের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলেও বাকি ২৯ জনের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তা হাসপাতালেই রেখে সংরক্ষণ করা রয়েছে বলে খবর।
গত ২ জুন সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে আচমকাই তিন ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। একইসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মালগাড়ি, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রাণ হারান প্রায় ৩০০ জন। আহত হন বারোশোরও বেশি যাত্রী। এমন পরিস্থিতিতে মৃত যাত্রীদের দেহ শনাক্ত না হওয়ায় প্রশাসনিক গড়িমসি প্রকট হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে শিয়ালদহ মেন লাইনে ধস, বিপর্যস্ত ট্রেন-চলাচল