চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: শীত মানেই পিঠেপুলি। তারই সন্ধানে কাটোয়াবাসী ছুটছেন আদর্শপল্লি বা কারবালাতলায়। সেখানেই বাড়িতে তৈরি রকমারি সুস্বাদু পিঠেপুলি মিলছে। বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। আছে দুধপিঠে, গোকুলপিঠে, ঝালপিঠে, শিংপিঠে, চুষিপিঠে, সরপিঠে, পাটিসাপটা, মালপোয়া ইত্যাদি।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও চা-শ্রমিকদের
শীতের তিন মাস এই পিঠে বানিয়েই দু’পয়সা বাড়তি রোজগার করছেন কারবালাতলার শিবানী দেবনাথ ও আদর্শপল্লির লক্ষ্মী দাস। দুই বধূর হাতে তৈরি পিঠে কিনতে লাইন পড়ে যাচ্ছে। মাধাইতলার শিবানী বলেন, ‘‘স্বামী বাইরে কাজ করে। তার রোজগারের টাকায় সংসারটা চলে ঠেলেগুঁজে। ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। গতবার সবলা মেলায় পিঠের স্টল দিয়েছিলাম। ভাল লাভ হওয়ায় দোকান দিয়েছি। ভালই বেচাকেনা হচ্ছে।’’ আর এক পিঠে-কারিগর লক্ষ্মী দাসের কথায়, ‘‘আগে পৌষ সংক্রান্তিতেই ঘরে ঘরে পিঠেপুলি হত। এখন সারা শীতেই মানুষ পিঠে খেতে চান। তাই নানান স্বাদের পিঠে বানাই। বাজারও ভাল।’’ একেবারে দেশি ঘরানায় ঢেঁকিছাঁটা চাল গুঁড়িয়ে পিঠেপুলি বানানোয় স্বাদও ভাল। শিবানীদি খদ্দেরদের বলেও দিচ্ছেন, কোন পিঠে পায়েস দিয়ে, কোন পিঠে খেজুর গুড়ে চুবিয়ে বা চায়ের সঙ্গে খেতে হবে। বাড়িতে পিঠে বানানোর হাজার ঝক্কি। তাই শিবানী-লক্ষ্মীদের লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে।