আজ ১৩ ডিসেম্বর। ২২ বছর আগে ২০০১ সালের এই ১৩ ডিসেম্বরেই ভয়ানক হামলা হয়েছিল সংসদ ভবনে (Parliament Attack)। আজ সংসদ ভবনে আরও এক হামলার সাক্ষী থাকল দেশবাসী। তফাৎ একটাই ২০০১ সালে হামলা চলেছিল পুরনো সংসদ ভবনে। আর আজ হামলা হল পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়ায়। তবে দুই হামলাই হল বিজেপির জমানায়। তবে কি ২০০১ সালে সংসদ ভবনের হামলার পরেও শিক্ষা নিল না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? এর উত্তর হল শিক্ষা নেয়নি বলেই ফের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তবে কি আবারও সংসদ ভবনে সাংসদদের হামলার মুখে পড়তে হবে?
কী ঘটেছিল ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর?
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটায় তখন ১১টা ৪০ মিনিট। আচমকাই ৫ পাক-জঙ্গি ঢুকে পড়েছিল সংসদ ভবনে (Parliament Attack)। কেন্দ্রীয় সরকারের ভুয়ো স্টিকার দেওয়া গাড়ি নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে ঢুকে জঙ্গিরা। সন্দেহ হলে গাড়িটিকে আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। আর ঠিক তখনই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সেই সময় সংসদে মন্ত্রী এবিং সাংসদ মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন ছিলেন। সংসদ ভবনের প্রতিটি ঘরে বেজে ওঠে অ্যালার্ম। গুলি চালাতে থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। প্রায় ৩০ মিনিট গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ৮ নিরাপত্তারক্ষী এবং ১ মালি। এদিকে মৃত্যু হয় ৫ জঙ্গির। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। বাজপেয়ীর জমানা থেকে মোদির জমানা। দুটি হামলার মুখে পড়ল সংসদ। তবে বাজপেয়ীর জমানায় জঙ্গিরা হামলা চালায় সংসদের বাইরে। এ বার নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুই হানাদার সরাসরি ঢুকে পড়লেন সংসদ ভবনের ভিতরে। এও সম্ভব! সাংসদদের নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে।
আরও পড়ুন- সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ইন্ডিয়া জোটের
২০২৩ সালে আজকের দিনে কী হল?
বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি বলে একটি ভিজিটর পাস নিয়ে দুই হানাদার একেবারে ঢুকে পড়লেন সংসদ ভবনের ভিতরে। স্লোগান চলল ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’। সংসদের ভিতর তাঁরা ছড়িয়ে দিলেন রং বোমা। দুই হানাদারদের মধ্যে একজন হলেন অমল শিন্ডে। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। অন্য জন নীলম সিং, তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন সাগর শর্মা নামে আরও জন।
শোনা গিয়েছিল ২০০১ সালে সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার পর আরও আঁটোসাঁটো হয়েছে নিরাপত্তা। কিন্তু আজকের ঘটনা বোঝাল সংসদে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের বজ্র আঁটুনি ভেদ করে কীভাবে হানাদাররা রঙ বোমা নিয়ে ভিতরে ঢুকে গেল?