প্রতিবেদন : পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে ফের অস্বস্তি মোদি সরকারের। বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি যে স্রেফ ভাঁওতা তা উঠে এল সর্বশেষ রিপোর্টে। জনগণের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার জুমলাবাজিও স্পষ্ট। চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হয়ে মোদি জমানায় গত ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বেকারত্ব। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট ও আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মসংস্থানের বেহাল দশা ঢাকতে ধর্মীয় মেরুকরণই তাই বিজেপির একমাত্র হাতিয়ার।
আরও পড়ুন-আদানিদের নাম করতেই হেনস্থা, গুজরাত পুলিশের নির্দেশ স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশ জুড়ে বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে ১০.০৯ শতাংশে। গত দু’বছরের মধ্যে যা সর্বাধিক। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। সেখানে বেকারত্বের হার ৬.২ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১০.৮২ শতাংশ। শহরের কর্মসংস্থানের হার ৮.৪৪ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির রিপোর্টে কর্মসংস্থানের রিপোর্টে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। সেপ্টেম্বরে বেকারত্বের হার ছিল ৭.০৯ শতাংশ। ব্যর্থতা ঢাকতে রোজগার মেলা করে প্রতিমাসে নিয়োগপত্র বিলির নামে নাটক করছেন মোদি। তা দেখিয়ে চলছে রাজনৈতিক প্রচার। অথচ আর্থিক রিপোর্টেই বেকারত্বের আসল ছবিটা ধরা পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-আমরা নারী আমরা সব পারি
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল ৬.১ শতাংশ। বেসরকারি সংস্থা সিএমআইই-র মুখ্য অধিকর্তা মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, গত বছরে ভারতে কর্মসংস্থান বাড়েনি। ভারতের কর্মশক্তি গত পাঁচ বছর ধরে স্থবির হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। সিএমআইই-র তথ্য বলছে, অক্টোবর মাসে প্রায় ১০ মিলিয়ন ভারতীয় কাজ পাওয়ার আশায় চাকরির বাজারে প্রবেশ করেছে। সব মিলিয়ে দেশে কর্মসংস্থানের এই মলিন ছবি যত সামনে আসবে ততই ছকবাঁধা সাম্প্রদায়িক মেরকরণের প্রচার করে মানুষের আসল সমস্যাকে ঢেকে দেওয়ার চক্রান্ত করবে মোদি সরকার।