অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : কর্মসংস্থানের নয়া দিশাই এবারের গুসকরা পুরনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ইস্যু। জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে শহরের বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সবরকমের প্রয়াস শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন পুরবোর্ড।
আরও পড়ুন-বন্ধ জুটমিল খুলতে মন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
‘জাগোবাংলা’-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানালেন আউশগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার। তিনি বলেন, বামেদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের শাসনকালে গুসকরা শহরের উন্নয়ন পুরোপুরি থমকে ছিল। মাত্র ১৬টি ওয়ার্ড নিয়ে পুরসভা। এই ছোট্ট পুরশহরের মানুষ যাবতীয় উন্নয়ন থেকে কার্যত বঞ্চিতই ছিলেন। সাধারণ মানুষের হাতে তেমন কোনও কাজ না থাকায় বেকারত্বের আঁধার গ্রাস করেছিল শহরবাসীকে। বামেদের এই বঞ্চনার প্রতিবাদে ২০০৮ সালেই পুর নির্বাচনে মানুষ বামেদের সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। কিন্তু বামজমানার ব্যর্থতা এবং অবহেলার শেকড় এতটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছিল যে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নয়া পুরবোর্ড উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করলেও তা প্রত্যাশিত গতি পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। সেই সময় রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সুযোগে বাম সরকার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের হাতে প্রাপ্য অর্থ দিত না।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্যুইট চটুল রাজনীতি রাজ্যপালের
ফলে শহরের পানীয় জল, নিকাশি এবং বিদ্যুতের প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করতেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় নয়া বোর্ডকে। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন গুসকরা শহরের মানুষ। শহরের ১৬টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি ৩ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় দ্রুত সেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান অভেদানন্দবাবু। তিনি বলেন, শহরটি ভৌগোলিক ভাবেই কিছুটা নিচু জমিতে অবস্থিত হওয়ায় বর্ষাকালে বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল জমে যাওয়ার সমস্যা ছিল। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।