প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক মহলের আবেদন উড়িয়ে টানা ১২ দিন ধরে ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া৷ মস্কোর এই আগ্রাসনে প্রবল ক্ষুব্ধ বাইডেন প্রশাসন৷ সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও ইউরোপ তথা বিশ্বের অন্যান্য সমমনস্ক দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে চাইছে আমেরিকা৷ লক্ষ্য একটাই৷
আরও পড়ুন-বোমাবর্ষণ আর বৈঠক একসঙ্গে!
আর্থিকভাবে পুতিন সরকারকে এমনভাবে কোণঠাসা করা যাতে যুদ্ধ চালানোর প্রবল খরচ চালাতে নাজেহাল হয় রাশিয়া৷ একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষতি বাড়তে থাকলে দেশের ভিতরেও দ্রুত জনসমর্থন হারাবেন পুতিন৷ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপকতা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্টভাবে তিনটি বিষয়কে হাতিয়ার করতে চাইছে আমেরিকা৷ এর প্রথমটি হল, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা৷ দ্বিতীয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দায়ের করা৷
আরও পড়ুন-জয়েন্টের জন্য সূচি বদল উচ্চমাধ্যমিকের
তৃতীয় বিষয়টি হল, ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পোল্যান্ডের যুদ্ধবিমান কিয়েভে পাঠানোর বিষয়ে সবধরনের সহযোগিতা করা৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্র দেশগুলির নেতাদের সঙ্গেও। পাশাপাশি ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে থাকা সাধারণ মানুষকে কীভাবে রাশিয়ার গোলাগুলির হাত থেকে রক্ষা করা যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে। অন্যদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ফের রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে পশ্চিমি দেশগুলির সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁর কথায়, যারা নির্বিচারে সাধারণ মানুষ ও শিশুদের হত্যা করছে তাদের কোনও ক্ষমা নেই।