প্রতিবেদন : শুক্রবার বিকেলের পর থেকে শিলিগুড়ি-সহ (Siliguri) উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। একাধিক নদীর জলস্তরও ধীরে ধীরে কমছে। নিচু এলাকায় জমে থাকা জল নামতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বন্যা-পরিস্থিতির জেরে ঘরছাড়া মানুষ নিজেদের ডেরায় ফিরতে শুরু করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর। টানা বৃষ্টিতে একাধিক ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছিল। তবে বৃষ্টি থামতেই জল নেমে যায়। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক কম এলাকায় জল জমেছে। পুরনিগম নিয়মিত নিকাশির কাজ করায় তেমনভাবে জল জমতে পারেনি।
বৃষ্টির মধ্যেই মেয়র পারিষদ মানিক দে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে। বলেন, লাগাতার বৃষ্টির জেরে কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমেছে, কিন্তু নিকাশি ঠিক থাকায় বৃষ্টি একটু কমতেই জল নেমে গিয়েছে। জলপাইগুড়িতেও টানা দুদিন পর কমেছে বৃষ্টির দাপট। একাধিক নদীর জলস্তর নামতে শুরু করেছে। দুদিনের বৃষ্টিতে গয়েরকাটা এবং বানারহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হন। জলস্তর নামতে সকলেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। খাবার এবং ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। মূলত ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে বানারহাটের হাতিনালায় জল বেড়ে বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে বৃষ্টি থামায় সব নদীর জলস্তর দ্রুত নামছে। স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। দলীয় নেতা-কর্মীদের আলিপুরদুয়ারে বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক।
আরও পড়ুন-বিডিওকে ‘শারীরিক নিগ্রহ’, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে হল এফআইআর