প্রতিবেদন : বাগদার জিতপুর সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের হাতে স্থানীয় গৃহবধূর ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বনগাঁ। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে বিএসএফ জওয়ানদের অত্যাচারে এমনিতেই অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। গণধর্ষণের ঘটনার পর তা গনগনে আকার নিয়েছে। ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজের সর্বস্তরে। গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত দুই জওয়ানকে শনিবার বনগাঁ মহকুমা বিশেষ আদালতে পেশ করে হলে ওই জওয়ানদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ঘটনার পর এলাকায় তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে, গোটা এলাকা থমথমে। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ভরসা দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। বিশ্বজিৎ দাস বলেন, সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে অর্থাৎ বিএসএফের এলাকাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। রবিবার এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও মিছিলেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-চার প্রশ্ন তৃণমূলের, নির্যাতিতার কাছে আজ প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ সভাও
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ও তাঁর সন্তান আপাতত সুস্থ আছেন। তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শিশুটি ট্রমার মধ্যে রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
বসিরহাটের ত্রিমোহিনী মাঠপাড়ার বাসিন্দা বছর তেইশের ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে বাগদা সীমান্তের রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতপুর বিওপির কাছে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শিশুটিকে নিয়ে স্বামীকে খুঁজতে বের হয়েছিলেন। তখনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের দুই জওয়ান তাঁকে জোর করে পাশের চাষের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মহিলার সঙ্গে থাকা দুই বছরের শিশুটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-রাস্তায় বিজেপির কোন্দল, বখরা নিয়ে মারামারি
ঘটনার পর শুক্রবার নির্যাতিতা বাগদা থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে দুই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। ধৃত দুই জওয়ানের নাম এস পি চৌবে, সে বিহারের বাসিন্দা। আর একজন আলতাফ হোসেন, সে কাশ্মীরের বাসিন্দা। বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার তরুণ হালদার জানান, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি, প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে।