অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: নারীশিক্ষার প্রগতিতে অনন্য নজির গড়ল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। ছেলেমেয়েরা যখন বই পড়ার বদলে মোবাইল-ল্যাপটপে মগ্ন থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য, তখন শুধুমাত্র প্রবল আগ্রহ নিয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর অর্জন করলেন বছর ৪৫-এর বীথিকা দাস। বয়সে ছোট সহপাঠীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্লাস করেছেন রায়গঞ্জের চাপদুয়ার এলাকার বাসিন্দা বীথিকা।
আরও পড়ুন-আদিবাসীদের অপ.মান, বারবার কটূ.ক্তি, ডুয়ার্সে প্রতি.বাদের ঝড়
তাঁর এই অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে উপাচার্য সকলেই। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার ওপর প্রবল আগ্রহ বীথিকার। কিন্তু আর্থিক অনটনে জর্জরিত সংসারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই কাজে যোগ দিতে হয় তাকে। এরপর বয়স বাড়লেও পড়ার আগ্রহ কমেনি। রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেন বীথিকাকে নিয়ে যান রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তৎকালীন উপাচার্যের সম্মতি ও বর্তমান উপাচার্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরে ভর্তি নেওয়া হয় বীথিকাকে।
আরও পড়ুন-টেস্টের সেরা দূত হল বিরাট : শাস্ত্রী
তিনি জানিয়েছেন, বাবার ইচ্ছাপূরণ করতেই জীবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছি।পথকুকুর, বিড়াল, গোরু, ছাগল, মুরগি, হাঁস, কোকিল— সবই রয়েছে আমার বাড়িতে। তার মধ্যেই চালিয়ে গিয়েছি লেখাপড়া। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের জন্যই আমার পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগামী দিনে বাংলায় পিএইচডি করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ড. দুর্লভ সরকার এ নিয়ে বলেন, বীথিকার এই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আগামীদিনে পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।