সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নজিরবিহীনভাবে অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ বিশ্বভারতীর। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, বিশ্বভারতী জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশ্বভারতী আজকের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও পরিযায়ী পরিব্রাজকের মন্তব্যের ঘোরতর বিরোধী। কারণ যিনি সর্বসমক্ষে এই বক্তব্য রাখছেন, কারণ তিনি এতদিন বিশ্বভারতীতে চলমান অশান্ত পরিবেশের ফসল তুলেছেন এবং বিশ্বভারতীকে পণ্যদ্রব্য করে ফায়দা লুটেছেন।
আরও পড়ুন-ভোটের পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী
যতই জগৎ-বিখ্যাত ব্যক্তি হন না কেন, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বভারতীর জমি দখল করবে, সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। তিনি যতই সমর্থনকারী চাটুকার দ্বারা সমর্থিত হোন না কেন, বিশ্বভারতী তার উদ্দেশ্য থেকে এক পা-ও সরবে না। শুধু তাই নয়, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করে অমর্ত্য সেনকে জমি হরণকারী বলেছে বিশ্বভারতী। এবং অমর্ত্য সেন-সহ সমস্ত মেকি রাবীন্দ্রিকের পবিত্র বিশ্বভারতীতে যাতে স্থান না হয়, তার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর বিভিন্ন শিক্ষিত মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রবীণ আশ্রমিকরা বলেন, এসব শুনতে শুনতে তাঁদের কান ঝালাপালা হয়ে গেল। এখন মন্তব্য করতেও রুচিতে বাধে। অমর্ত্য সেন বলেন, বিশ্বভারতীর অবস্থা বর্তমান নালন্দার মতো হবে। ছোট হতে হতে একটি হিন্দু প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে নালন্দা। একদিন ওই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের আচার্য ছিলাম।