প্রতিবেদন : অবশেষে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে মেলার মাঠ ব্যবহার করতে রাজি বিশ্বভারতী। তার মধ্যে যেমন আছে বিশ্বভারতী আধিকারিকদের উপর করা ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি, শান্তিনিকেতনে ট্রাস্ট মেলার মাঠ ভাড়া বাবদ কুড়ি হাজার টাকা দিত, সেই অর্থ মহকুমা প্রশাসনকে দিতে হবে। সমস্ত দায় ভার ও খরচের ভার এবং সর্বোপরি গ্রিন ট্রাইব্যুনালের শর্ত বা কোনও আইনি জটিলতা বিশ্বভারতী নেবে না।
আরও পড়ুন-লে লো বাবু দু’কোটি
মেলার শেষে মাঠ পরিষ্কার-সহ সব দায় রাজ্যকে নিতে হবে। আগেই পৌষমেলা করবে না বলে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথ বয়ানে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেয় তারা মেলা করতে অপারগ। তারপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতীর কাছে অনুরোধ করবে মেলার মাঠ ব্যবহার করার জন্য অনুমতি চাইবে। সেই মোতাবেক বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বিশ্বভারতীকে একটি চিঠি দেন। পাশাপাশি আলোচনাও করেন।
আরও পড়ুন-দিঘায় বিজেপির গীতাপাঠের পাল্টা চণ্ডীপাঠ করবে সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট
বিশ্বভারতী তারপর জবাবি চিঠিতে কতগুলো শর্ত ধরিয়ে মেলার মাঠ দিতে রাজি হয়। বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে বিশ্বভারতী একটি চিঠি দিয়েছে। তার উত্তরে আমরা চিঠি দিয়েছি। আশা করি সত্বর ফাইনাল একটা উত্তর কালকের মধ্যে পেয়ে যাব। এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডাকবাংলো মাঠে রাজ্যসরকারের তরফে পৌষমেলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে।