দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : রাজেশ কে বেণুগোপাল মামলায় কলকাতা উচ্চ আদালতে মুখ পুড়ল বিশ্বভারতীর স্বেচ্ছাচারী উপাচার্যর। কর্তব্যে অবহেলার মিথ্যা অভিযোগে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি শোকজ নোটিশ ধরানো হয় সংগীত ভবনের নাটক বিভাগের দীর্ঘদিনের অধ্যাপক রাজেশ কে বেণুগোপালকে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের বিধায়কদের আবার ল্যাপটপ কেনার টাকা দেবে বিধানসভা
২৭ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেওয়া হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ১৩ মার্চ তাঁকে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। ন্যায়বিচার চেয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতে মামলা করেন অধ্যাপক বেণুগোপাল। বুধবার সেই মামলার রায় গেল তাঁরই পক্ষে। আদালতের রায়ে জয়ী অধ্যাপক বেণুগোপাল বলেন, সত্যের জয় হল। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য স্পষ্ট উল্লেখ করেন, উপাচার্যের লিখিত নির্দেশ ছাড়াই কর্মসচিব শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অধ্যাপক বেণুগোপালকে সাসপেন্ড করেছেন। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বডি কর্মসমিতির অনুমোদন ছাড়াই এই কাজ করা হয়েছে। এই সাসপেনশন তাই নিয়মবহির্ভূত বলে তিনি বাতিল করে দেন। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর স্বেচ্ছাচারিতায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক অধ্যাপক-কর্মীদের সাসপেনশন করে আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বিশ্বভারতীতে।
আরও পড়ুন-তাজপুরে ৩ কিমি সমুদ্রবাঁধের কাজ শুরু
ফলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ক্ষতি হচ্ছে। সেদিকে উপাচার্যের কোনও লক্ষ্য নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে কোনও সুরাহা না হওয়ায় শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন অধ্যাপক বেণুগোপাল। আইনজীবী পুষ্পল চক্রবর্তী আদালতে উপাচার্যের উদ্দেশ্যপূর্ণ চক্রান্তের ঘৃণ্য রূপ তুলে ধরেন। মহামান্য বিচারক সব পক্ষের কথা শুনে ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে উপাচার্যের অভিযোগ খারিজ করে অধ্যাপকের আবেদন মঞ্জুর করেন। কেরল থেকে আগত অধ্যাপককে সকলে অভিনন্দন জানান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষাবিদ বলেন, প্রতিটা ক্ষেত্রেই আদালতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অনৈতিক উদ্দেশ্য প্রকাশ পাচ্ছে। তাঁর জন্য বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ভুলুণ্ঠিত। উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে।