প্রতিবেদন : মঙ্গলবার বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Election) ভোট গ্রহণ। সকাল সাতটা থেকে ভোট নেওয়া শুরু হবে। ভোট পর্ব অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সবরকম ব্যবস্থা করেছে। দুই কেন্দ্রেই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগেই দুই কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সোমবার ভোটগ্রহণের আগের দিন ওই দুই কেন্দ্রে বাড়তি আরও ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে আসানসোল ও বালিগঞ্জে মোট বাহিনীর সংখ্যা হল ১৩৮ কোম্পানি। ভোট পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে। বালিগঞ্জ বিধানসভায় মোট বুথের সংখ্যা ৩০০, অপরদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ২১০২টি বুথ। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৬৮০, সেখানে বালিগঞ্জ রয়েছে ২৩টি স্পর্শকাতর বুথ। বালিগঞ্জে একশো শতাংশ বুথে লাইভ ওয়েব কাস্টিং হবে। সব বুথ এবং বুথের বাইরে ২০০ মিটারের মধ্যে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতি বুথে থাকবে দুইজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০০ মিটারের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। সেখানে সব সেক্টর অফিসে থাকবে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিউআরটি টিমে থাকবে ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী আর একজন এএসআই, বাকি রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ। আসানসোলের নির্বাচনে সাম্প্রতিক কালে অশান্তির ইতিহাস রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে কমিশনকেই। তবে কেবলমাত্র আসানসোল নয়, বালিগঞ্জের উপনির্বাচনকে কমিশন কড়া হাতেই পরিচালনা করতে চাইছে। যে কারণে বালিগঞ্জে ১০০% বুথেই সিসিটিভি থাকবে। কমিশনের তরফ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও ক্ষেত্রেই গাফিলতি মেনে নেবে না কমিশন। যদি কোনও গাফিলতি নজরে আসে তৎক্ষণাৎ কমিশন যে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না সে কথাও পরিষ্কার করে দিয়েছে। অন্যদিকে আসানসোলে ওয়েবকাস্টিং হবে ৫১ শতাংশ বুথে। সব বুথেই থাকবে সিসিটিভি নজরদারি। আসানসোল কেন্দ্রে ৪৪২ জন মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছে। বালিগঞ্জে থাকছেন ৪০ জন। এছাড়া আসানসোলে তিনজন সাধারণ, একজন পুলিশ এবং একজন ব্যয় পর্যবেক্ষক থাকছেন। আগামী ১৬ এপ্রিল হবে ভোটগণনা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হবে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, হেস্টিংসে। উপনির্বাচন (By Election) হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, এই ভোট আসলে প্রতিবাদের ভােট। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহতই থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একের পর এক জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অন্যতম হাতিয়ার হল এই উপনির্বাচন। মানুষও তৈরি জবাব দিতে। কারণ পেট্রোপণ্য থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা বিলগ্নীকরণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়ে আছে।