প্রতিবেদন : রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ ১৯ দিনে পড়ল। এদিনও রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের উপর নির্বিচারে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। দু’দিন হয়ে গেল মেলিটোপোল শহরের অপহৃত মেয়রের সন্ধান মেলেনি। এদিন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা মঙ্গলবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন দাবি করেছে, যুদ্ধের ১৯তম দিন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রুশ সেনার হামলায় মারা পড়েছেন প্রায় ৬৫০ জন নিরীহ মানুষ।
আরও পড়ুন-চিনকে হুমকি
যদিও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, এই মুহূর্তে রাশিয়া মূলত সাধারণ ও নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে। এদিন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, রাশিয়া আমাদের সব ধরনের পরিকাঠামো ধ্বংস করছে। শহরগুলিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। কিন্তু আমরা সবকিছু নতুন করে গড়ে তুলব। রাশিয়া আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালালেও তারা জিততে পারবে না। জয় আমাদের হবেই। একইসঙ্গে জেলেনস্কি এদিন ফের ইউক্রেনের আকাশকে রাশিয়ার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন। ইউক্রেনের প্রশাসন দাবি করেছে, চেরনোবিল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন-কানাডায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৫ ভারতীয় পড়ুয়ার
অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি, ডোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় এদিন ২০ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ২৮ জন। যদিও নিজেদের বক্তব্যের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ দেয়নি মস্কো। যুদ্ধের ১৯ দিন পরেও এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি মস্কো। বরং ইউক্রেনের যে সমস্ত এলাকা তারা দখল করেছিল তার অনেকগুলি হাতছাড়া হয়েছে। এদিন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে চিনের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য চেয়েছে। যদিও চিনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার অস্ত্র চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন টেসলার ও স্পেসএক্সের সিইও এলন মাস্ক। তিনি পুতিনের উদ্দেশে ট্যুইট করেছেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্টকে চ্যালেঞ্জ করছি একাকী আমার সঙ্গে লড়াই করুন। এই লড়াইয়ে যে জিতবে সে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ যুদ্ধ চলবে কি না সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।