দেবর্ষি মজুমদার, হাঁসন:‘আর কিছুদিন পর সেন্ট্রাল রিজার্ভের টাকা থাকবে না পেট্রোল কেনার জন্য। ভারতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন। শুধু দু-একটা কোম্পানির মুনাফার জন্য এই গরিব মানুষের কপাল বিক্রি করে দিয়েছেন। কই সেকথা তো সুকান্তবাবু, অধীরবাবু থেকে সেলিমসাহেবরা বলেন না? শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খারাপ! তৃণমূল হঠাও, দেশ বাঁচাও! আরে দেশটাই থাকবে না! তৃণমূল আছে বলেই, মোদির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার ক্ষমতা আছে। যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলার ক্ষমতা থাকবে না, দেশটা নিলামে বিক্রি হয়ে যাবে।’ এইভাবেই নলহাটি দুই ব্লকের হাঁসন কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুরের কামালদিঘি মাঠে শনিবার বিকেলে এক জনসভায় বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (WB Minister Firhad Hakim)। ফিরহাদ আরও বলেন, যেখানে বাঘ থাকে না সেখানে শেয়ালের উপদ্রব বেশি। অনুব্রত মণ্ডলকে আগে বীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, এবার বীরভূমে গিয়ে বীরভূম জেলা সভাপতিকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম (WB Minister Firhad Hakim)। প্রশংসা করলেন ওঁর অনুপস্থিতিতে জেলা নেতৃত্বের কাজের। দুদিন আগে এই মাঠেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সভা করেন। আজকে লোক এসেছে তার বহুগুণ। মঞ্চে ছিলেন বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি, উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অসিত মাল। ফিরহাদ আরও বলেন, ‘বাংলা ভাঙার চক্রান্ত চলছে। যখন শান্তভাবে উন্নয়ন হচ্ছে তখন গুরুংকে দিয়ে গণ্ডগোল লাগিয়ে দাও। কী করে মমতাকে জব্দ করা যায়। মমতাকে জব্দ করা যায় না। কারণ এই দশকোটি মানুষ মমতার পাশে আছে।’ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামসভাগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ আপনাদের হাতেই আপনার গ্রামে ভাল রাস্তাঘাট, পানীয় জল হবে কিনা তা নির্ভর করছে। কপ্টার থেকে নেমে রামপুরহাট সার্কিট হাউসে সভা করার আগে সাংবাদিকদের সামনে জেলা নেতৃত্বকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন।
আরও পড়ুন-এবার হলদিয়ার সুতাহাটায় সমবায় সমিতির ভোটে জয় তৃণমূলের