প্রতিবেদন : বঙ্গ বিজেপির মিথ্যাচার ফের ধরা পড়ে গেল। কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই প্রকট হল ‘এগিয়ে বাংলা’। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেল দেশের বিজেপি পরিচালিত সরকারগুলির থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যোগীরাজ্য-সহ বিজেপি নেতৃত্বাধীন অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, আপ-শাসিত দিল্লি, কংগ্রেস-শাসিত রাজস্থান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও মিড ডে মিলের রিপোর্ট পেশ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন-অধ্যক্ষকে অসম্মান করার অভিযোগ, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা
বিরোধী দলনেতা লোডশেডিং অধিকারী যখন মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই দাবি করছিলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার অভিযোগ তুলছিলেন মিড ডে মিল নিয়ে, তখন কেন্দ্রীয় রিপোর্টই বলছে অন্য কথা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ-প্রসঙ্গে বলেন, এর থেকেই প্রমাণিত, বিজেপি যা বলছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্যে মিড ডে মিলের সুষম বণ্টনে কোনও অসঙ্গতি নেই। যারা হিসেব দেয় না, সেই উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলোয় কেন্দ্রীয় দল তদারকিতে যায় না। শুধু বাংলা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কুৎসা রটানো হয়।
আরও পড়ুন-চিকিৎসকদের ওপর নজরদারিতে পদক্ষেপ রাজ্যের
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মিড ডে মিলের দুর্নীতি আটকাতে নানারকমের নজরদারি চালানো হয়। সেজন্য রাজ্যগুলিকে দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক রিপোর্ট পাঠাতে হয় কেন্দ্রকে। স্কুলস্তর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ক’জনকে মিড ডে মিল দেওয়া হল, তার হিসেবও প্রধান শিক্ষকদের বিকাশ ভবনে এসএমএস করে পাঠাতে হয়। সেই হিসেবও পৌঁছয় কেন্দ্রের কাছে। বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রের কাছে সেই হিসেব পাঠাতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি ও এনডিএ-শাসিত একাধিক রাজ্য। কিন্তু বাংলা নিয়ে কেন্দ্র সেই অভিযোগ তুলতে পারেনি। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এই রিপোর্ট পেশের ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। কিন্তু দেশের অনেক বিজেপিশাসিত রাজ্যকে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি এখন মুখরক্ষায় বলছে কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে জল মেশানো রয়েছে।