প্রতিবেদন : কুৎসা ফাঁস করলেন জাকির হোসেন। ১৫ কোটি নয়, ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা আয়কর আধিকারিকরা তাঁর বাড়ি থেকে পেয়েছেন, আর সেটা লিখিতভাবে জানিয়েও গিয়েছেন তাঁরা। সেই কাগজও রয়েছে। শুক্রবার জঙ্গিপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলে দিলেন জঙ্গিপুরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও তৃণমূল নেতা। জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) কথায়, আইনি ভাবে এই টাকা ফেরতের জন্য আমি যা করার করব। আমার অ্যাকাউন্টেন্ট ও আইনজীবীরা পুরোটা দেখছেন। রাজনৈতিক চক্রান্ত ও পরিকল্পনা করে টাকার অঙ্ক ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে একশ্রেণির মিডিয়া। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, জাকিরের অফিস-কারখানা থেকে ১৫ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে, এখবর এক শ্রেণির মিডিয়ায় খবর হল কীভাবে? কারা এই টাকার অঙ্ক মিডিয়াকে মৌখিক ভাবে খাওয়াল বদনাম করার জন্য? আর যদি সেটা ভুল হয়েই থাকে তবে সংশ্লিষ্ট আয়কর আধিকারিকরা কেন বললেন না যে এটা ভুল! ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার অঙ্ক তাঁরা জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) লিখিত ভাবে দিয়ে গেলে ভুল শোধরানোর জন্য তাঁরা মিডিয়াকে তা বললেন না কেন? কার নির্দেশে টাকার অঙ্ক ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মিডিয়াকে খাওয়ানো হল? এর থেকেই প্রমাণিত হয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিজেপির ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। এদিন জাকির হোসেন বলেন, আয়কর আধিকারিকরা যখন অভিযান চালান, তখন সেখানে আমার বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, শিক্ষক ও বাড়ির মহিলাদের টাকা রাখা ছিল। তার পরিমাণ ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। আমি জেলার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এই টাকা আমার আয়ের সঙ্গে একেবারেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। জাকিরের সংযোজন, আমার মনে হয় রাজনৈতিক কারণেই আমার বাড়িতে আয়কর দফতরের অভিযান চালানো হয়েছে। নির্বাচনী হলফনামাতেই আমি লিখেছিলাম আমার বার্ষিক আয় প্রায় ৬৪-৬৫ কোটি টাকার বেশি। গত ২৩ বছর ধরে আমি এবং আমার কোম্পানি মুর্শিদাবাদ জেলার সর্বোচ্চ আয়করদাতা। এবছরও আমি ১০ কোটি টাকার বেশি আয়কর দেব। তবে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যে বিষয়গুলো জানতে চেয়েছেন তা আমার চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং অন্য আইনজীবীরা দেখছেন। গোটা লড়াইটি আইনিভাবে লড়ব। সাফ কথা তৃণমূল বিধায়কের।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে বিঁধে স্ট্যালিন চিঠি দিলেন রাষ্ট্রপতিকে
আগামী সপ্তাহে জাকির হোসেনকে তাঁর গত পাঁচ বছরের আয়কর প্রদানের হিসেব নিয়ে কলকাতার আয়কর অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে। জাকির হোসেনের দাবি, আমার শিব বিড়ি কোম্পানি থেকে কোনও টাকা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা নিয়ে যাননি এবং সে কথা তাঁরা লিখিতভাবে আমাকে জানিয়েও দিয়ে গিয়েছেন।
তবে ‘শিব রাইস মিল’ নিয়ে জাকিরের বক্তব্য, অন্য কয়েকজনের সঙ্গে আমার স্ত্রী ওই মিলের অংশীদার। ওই মিলের আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি জড়িত নই। সেখানে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে বা আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কী নিয়ে গেছেন তা আমার জানা নেই। তাঁর সংযোজন, চালের ব্যবসা, শ্রমিকদের মজুরি এবং চাল কেনার জন্য অনেক সময় আমাদের নগদে লেনদেন করতে হয়। সে কারণেই হয়তো ওই মিলে কিছু টাকা রাখা ছিল। তবে গোটা বিষয়টি যে রাজনৈতিক চক্রান্ত ও তাঁকে অপদস্থ করার জন্য তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি।