মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিস্ফোরণ

৩০০ কোটি ঘুষ দিতে আসেন মোদি ঘনিষ্ঠ আরএসএস নেতা

Must read

প্রতিবেদন : ফের এক বড়সড় বোমা ফাটালেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাজস্থানে এক অনুষ্ঠানে সত্যপাল বলেন, অবৈধভাবে দুটি ফাইল সই করার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই ফাইল দুটির একটি ছিল নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি অনিল আম্বানির এবং অন্যটি ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক প্রথম সারির নেতার, যিনি মোদি ঘনিষ্ঠ। ওই ফাইল দুটি সই করার জন্য যখন তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল, তখন তিনি কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন।

আরও পড়ুন-সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের

শুক্রবার সকালেই সত্যপাল মালিকের বক্তৃতার একটি ভিডিও ট্যুইটারে প্রকাশ হয়। ওই ভিডিও পোস্টে সত্যপাল বলছেন, আমি জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমার কাছে দুটি ফাইল আসে। দুটিতেই আমাকে সই করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। সই করলে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। ওই ফাইল দুটির একটি ছিল অনিল আম্বানির এবং অপরটি ছিল আরএসএসের এক প্রথম সারির কর্তার। সত্যপাল বলেন, তাঁর অফিসের এক কর্মী বলেছিলেন ওই ফাইল দুটিতে সই করলে প্রতিটির জন্য ১৫০ কোটি করে মোট ৩০০ কোটি টাকা পাবেন। প্রশ্ন হল ওই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কী বলেছিলেন সত্যপাল? নিজের জবাবও ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন মেঘালয়ের বর্তমান রাজ্যপাল। সত্যপাল বলেছেন, অফিসারদের বলেছিলাম আমি পাঁচটা পায়জামা-পাঞ্জাবি নিয়ে কাশ্মীর এসেছি। ওগুলো নিয়েই বাড়ি ফিরে যাব। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি কোনও বেআইনি ফাইলে সই করেননি। উল্লেখ্য গত সপ্তাহে রাজস্থানের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এই কথাগুলি বলেছিলেন সত্যপাল। যদিও মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়োটি ট্যুইটারে প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন-মোদি সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলে ট্যুইটে ফের বোমা ফাটালেন বিজেপি সাংসদ স্বামী

সূত্রের খবর জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল যে দুটি ফাইলে সই করার কথা বলেছেন তার একটি ছিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক এবং পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্যবিমা সম্পর্কিত। এই বিমার জন্য জম্মু-কাশ্মীর সরকার রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এই বিমা সংস্থাটির মালিক হলেন অনিল আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপ। শেষ পর্যন্ত সত্যপাল ওই চুক্তিতে সই না করায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয় ফাইলটি অর্থাৎ মোদি ঘনিষ্ঠ আরএসএস নেতার আবদার কী ছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি।

Latest article