প্রতিবেদন : বাংলার প্রগতি চায় না বিজেপি। এরকমই অভিযোগ তুললেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী পুলক রায় (Minister Pulak Roy)। বুধবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, এ রাজ্যের বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বলেন, বাংলার উন্নয়নে কোনও টাকা দেবেন না। এর থেকেই বোাঝা যায়, বিজেপি আসলে বাংলার উন্নয়নকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। এর পাশাপাশি পুলক রায় (Minister Pulak Roy) বলেছেন, বাম জমানায় গ্রামপঞ্চায়েতগুলো ছিল দলীয় কার্যালয়। এখন সেসব নেই। পঞ্চায়েতে সুফল পাচ্ছে বাংলার মানুষ। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কার্যত কোনও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে না বাংলা। ২০১১ সালের পর প্রকৃত গান্ধীর গ্রাম স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের যোগ্য নেতৃত্বে। যারা কাজ করবে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেয়নি। ৫৯১৩০ জন সদস্য-সদস্যা আছে ত্রিস্তর বিশিষ্ট পঞ্চায়েত ব্যবস্থায়। ৩০০০ টাকা করে পান এঁরা। আগে ৩০০ টাকা ছিল। ২০২১-এর ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্র টাকা বন্ধ রেখেছে। প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। সার্বিক উন্নয়নের জন্য। ৩৬২৫৯ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে। ব্রিজ হচ্ছে। ১৬টার কাজ শেষ। মোট ৫৬টা হবে। ১০৪টি রাস্তার কাজ শুরু হবে। আনন্দধারা প্রকল্পে মহিলা স্বনিযুক্তি কাজ চলছে৷ ৬৮৯৮৩০টি গ্রুপ করা হয়েছে। তাদের তৈরি জিনিস বাজারজাত করার জন্য আমরা কাজ করছি। সৃষ্টিশ্রী আউটলেট করা হচ্ছে। ওদের জিনিস বিক্রি হচ্ছে। সমব্যথী প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে এ পর্যন্ত অর্থ সাহায্য পেয়েছেন ২১,০১১৩ জন পেয়েছেন। মৃত্যুর খবর পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ২,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিশন নির্মল বাংলায় কাজ হয়েছে। ৬৯,২,৫২৯টি পরিবারে শৌচাগার তৈরি হবে এবং হচ্ছে। ১১২টি গ্রামে কঠিন তরল বর্জ প্রসেসিং হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার উন্নয়ন বিরোধী। ৬৪৫ কোটি টাকার নির্মল মিশন বাংলায় অনুমোদন দিলেও একটা টাকাও এ পর্যন্ত দেয়নি। আবাস যোজনায় ৫৬,৮৬,৪৩০টি পরিবারে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এরমধ্যে ৩৮,৯৯,৫,৯৫১টি পরিবার সাহায্য পেয়েছে। এ-ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেয়নি। অন্যান্য রাজ্যকে টাকা দিলেও বাংলাকে কোনও টাকা দেয়নি।
আরও পড়ুন: কাজ শুরু, গ্রিন সিটির লক্ষ্যে কোচবিহার