প্রচারের শুরুতেই প্রবল আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা

কোর্ট-বাহিনী যাই করুক মানুষের ভোটেই জিতব

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক। আদালত তার কথা বলুক। এসব নিয়ে ভাবনার চেয়ে এখন আমাদের ভাবনা কত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। কারণ মানুষের আশীর্বাদেই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) আজ বাংলার মসনদে। তাই মানুষ ছাড়া আমরা আর কোনও কিছু নিয়ে ভাবছি না। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের কুৎসা, আইন-আদালত ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে অতি উৎসাহে লাফালাফি করলেও তৃণমূল কংগ্রেস এসব পরোয়া করে না। এর আগেও একাধিক ভোট বাহিনী দিয়েই হয়েছে। সব ভোটেই বিপুলভাবে জয়ী হয়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই একই ছবি দেখবে সকলে। বিরোধী আছে আদালতের দরজায়। আমরা আছি মানুষের দরজায়, সাফ বক্তব্য দলের। কিন্তু বিচারব্যবস্থা ও বিচারপতিদের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে দু’একটি কথা বলতেই হচ্ছে। বিরোধীদের সুর বিচারপতির গলায় শোনা গেলে সেটা শুধু বাংলার লজ্জা নয়, বিচারব্যবস্থার লজ্জা। বুধবার আদালতের ‘ভোট বন্ধ করা উচিত’ এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের  (TMC)বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টে মহামান্য বিচারপতি যে মন্তব্য করেছেন তাঁর প্রতি আস্থা রেখে প্রশ্ন, ২০০৩ সালে বাম জমানায় এই বিবেক কোথায় ছিল? যখন ৬০-৭০ জন খুন হয়ে যেত। বিরোধীদের লাগাতার অত্যাচারে তৃণমূলের লোকেরা মারা গেল। এদিকে শুনতে হচ্ছে, ভোট বন্ধ করে দেব। আদালত তার পর্যবেক্ষণে যা খুশি মন্তব্য করতে পারে। আমরা কিছু বললেই সেটা আদালত অবমাননা হয়ে যাবে? এখানেই প্রশ্ন। রাজ্যে ৬১ হাজার বুথ। মহামান্য বিচারপতি সেটা দেখবেন না? এবারই সবথেকে বেশি মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে বিরোধীরা। এটা দেখতে পাচ্ছেন না বিচারপতি? পঞ্চায়েতে মনোনয়ন সংক্রান্ত একটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন? যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করতেই হত, তবে বিচারপতির তত্ত্বাবধানেই তা করা যেত। কিন্তু যাদের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে, তদন্তের জন্য সেই সিবিআইকেই আনতে হচ্ছে? এটা ন্যায় বিচার হচ্ছে না। বিচারপতিকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলছি না। কিন্তু গায়ের ঝাল মেটাচ্ছেন কিছু ব্যক্তি। যাঁদের অতীত রাজনৈতিকভাবে যুক্ত। তাঁদের চলনে-বলনে-সংলাপে তা প্রতি মুহূর্তে প্রতিফলিত হচ্ছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোন সিবিআইকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন? যারা তাদের তালিকায় এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুকে গ্রেফতার করে না। এরা করবে নিরপেক্ষ তদন্ত? বিচারপতি সিনহা কি মনে করেন এই সিবিআই নিরপেক্ষ হবে? এ তো পক্ষপাতদুষ্ট এজেন্সি। সব দেখেশুনে পাড়ার সিপিএম কর্মীর মতো মনে হচ্ছে। যারা তৃণমূলের উপর রাগে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। বলা হচ্ছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে খারাপ? খারাপের তো একটা মাপকাঠি থাকবে? কয়েকটা বুথের কয়েকটা দৃশ্য দেখিয়ে এধরনের সিদ্ধান্ত হলে সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একটা কথা জোরের সঙ্গে বলতে পারি, আদালতের রায়ে দ্বিমত প্রকাশ করা যাবে না, এই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে তাই হবে। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর পর ওই বুথের রেজাল্টগুলো দেখে নেবেন।

আরও পড়ুন: ৫৮ নেতার নাম জানাল তৃণমূল, আজ প্রচার শুরু ১৬ জেলায়

Latest article