হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কী সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

Must read

সোমবার ৪ দিনের জেলা সফরে পূর্ব মেদিনীপুর গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন খেজুরিতে সরকারি পরিষেবা প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আরও একবার সিপিআইএম ও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আগামী ৬ তারিখ হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। হিন্দু ভাই-বোনেদের বার্তা দিলেন রোজার সময়ে সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের রক্ষা করার।

বাম ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিএম-এর আমলে দেখছি গুন্ডাবাজি, পুকুরে বিষ মিশিয়ে দেওয়া, মানুষের পা কেটে দেওয়া, মানুষকে বয়কট করা, নরমুন্ডু নিয়ে খেলা করা। আর বিজেপির আমলে দেখছি দাঙ্গাবাজি।” তাঁর আরও সংযোজন, “একসময় খেজুরিতে ঢোকা যেত না। সিপিএম-এর অত্যাচারে মানুষ অত্যাচারিত ছিল। আমার একজন ছাত্রী বন্ধুকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। এরপর তাঁর বাবার নামে দোষ দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম গুলো এখন বিজেপি হয়েছে।” এরপরই রামনবমীর প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “কেন ৫ দিন ধরে রামনবমীর মিছিল হবে? এটা কী ধরণের মিছিল যেখানে বুল্ডোজার যাচ্ছে, বন্দুক নিয়ে নাচ করছে, গরিব মানুষের ফলের গাড়িতে আগুন জ্বালাচ্ছে?” পাশাপাশি সকলকে সতর্ক করে ও দাঙ্গা রুখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো বলেন, “আমরা বজরংবলীকে সম্মান করি কিন্তু মাথায় রাখবেন ৬ তারিখে ওরা যেন দাঙ্গার প্ল্যান করতে না পারে। ৬ তারিখ হিন্দু ভাইবোনেদের দায়িত্ব দিলাম, ওদের রোজা চলছে। ওদের রক্ষা করবেন কার গায়ে যেন হাত না পড়ে।”

আরও পড়ুন: অন্যায়ভাবে গরিবদের টাকা আটকেছে কেন্দ্র, জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

দাঙ্গাবাজদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির কাছ থেকে টাকা খেয়ে রাস্তা ভাঙছে। আমি তৈরি করছি ওরা ভাঙছে। মনে রাখবেন একটা আইন হয়েছে যেখানে সম্পত্তি নষ্ট করলে সরকার আপনাদের সম্পত্তি দখল করে নিলাম করবে। আর সেই টাকা চলে যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে।”

নাম না করে এদিন বিরোধী দলনেতাও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের নামে দশদিন কাউকে বেরতে দেওয়া হয়নি। ১৪ মার্চ যখন গুলিতে মারা গিয়েছিল, সেই সময় খেজুরি দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হত না। সেই সময় গদ্দাররা মাঠে ছিল না। লুকিয়ে বসেছিল। আমি সেই সময় ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। ১৪ মার্চের গুলিকাণ্ডের পর আমি ছুটে এসেছিলাম। চণ্ডীপুরে আমার গাড়ি আটকে পেট্রল বোমা মারতে গিয়েছিল। কোলাঘাটে আমার গাড়িতে মদের বোতল ছোড়া হয়েছিল। আমার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। আমি যত দিন বাঁচব আমার আন্দোলন কেউ রুখতে পারবে না।”

Latest article