২ কোটি চাকরি, ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ, গেল কোথায়? শ্রমিক-কৃষকদের ভাঁড়ার সেই শূন্য

Must read

জাগোবাংলা ব্যুরো: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে জনমন জয়ের মরিয়া প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যে ঘরে-বাইরে প্রবলভাবে কোণঠাসা কেন্দ্রের মোদি সরকার। আয়করে কিছুটা ছাড়ের ছবি দেখানো আর বয়স্ক এবং মহিলাদের জমা-পুঁজির অঙ্কে কিছুটা এদিক-ওদিক করার মতো কেন্দ্রীয় বাজেটের নানা ঘোষণায় সেই প্রচেষ্টাটির প্রতিফলন দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু ২০১৪ সালে দিল্লির মসনদ দখল করার পর থেকে দু’কোটি কর্মসংস্থান, সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার মতো যেসব ঘোষণা মোদি সরকার করেছিল সেগুলোর বাস্তব রূপায়ণের কোনও দিশা দেখা গেল না এবারের বাজেটেও। দু’-দুটো মেয়াদ শেষ করার মুখে দাঁড়িয়েও মোদি সরকারের এই বাজেট শ্রমিক কৃষকের মজুরি বৃদ্ধি, তাদের সামাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিবারের মতোই নীরব। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের কোনও দিশাও নেই এবারের বাজেটে। বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলির বঞ্চনাও চোখে পড়ার মতো। দেশের একাধিক অংশে নতুন রেল প্রকল্প ঘোষণা হলেও বাংলার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ঘোষিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সহ নির্মীয়মাণ ও প্রস্তাবিত মেট্রো প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বেড়েছে খুবই সামান্য। বাজেটের নথি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রো রেলের জন্য বরাদ্দ ২৪৫০ কোটি টাকা। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২০০০ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে করে দেওয়া হয় ১,৮৩৮ কোটি টাকা। এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া মেট্রো রেলের ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট ১২০০ কোটি টাকা। জোকা- মাঝেরহাট রেলের বাজেট ১৩৫০ কোটি টাকা। ইনভেস্ট ইন পাবলিক এন্টারপ্রাইজে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে পেয়েছে ১০০০ কোটি টাকা। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই পরিমাণটা ছিল ১,১০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: পুরনো গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স বাতিল হবে

বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঘোষণার যে বিরাট বিজ্ঞাপন দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তাও আদতে অন্তঃসারশূন্য বলে মনে করছেন করদাতা থেকে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা।
প্রবীণ অর্থনীতিবিদ এবং বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অজিতাভ রায়চৌধুরী বলেন, আয়করে পুরনো কর কাঠামোয় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সিংহভাগই এই করছাড়ের সুযোগ পাবেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক অমৃতা চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন এই করছাড়ের সুবিধা নিয়ে। তাঁর কথায়, পুরনো আয়কর কাঠামোয় বাড়ি ভাড়া, জীবনবিমা সহ নানা ক্ষেত্রে ছাড়ের সুবিধা মিলত। যা নতুন আয়কর কাঠামোয় অনুপস্থিত। ফলে কেন করদাতারা সামান্য ছাড়ের আশায় নতুন কর ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Latest article