গুরু কে? কেনই বা গুরুপূর্ণিমা?

আগামী ১৩ জুলাই গুরুপূর্ণিমা। কেন পালিত হয় দিনটি? জানালেন ড. জয়ন্ত কুশারী

Must read

‘‘…আমি অন্ধকারের যাত্রী, আমায় আলোর পথ দেখাও’’
কে দেখাবেন আলোর পথ? পথ অন্ধকারাচ্ছন্ন কেন? এই অন্ধকার মনের। মানসিকতারও। চিন্তার। আবার চেতনারও। এই অন্ধকার অশিক্ষারও। অথচ আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত এক-এক জন। সমাজে উচ্চ আসনে (পদে) আসীন আমরা বিত্তে। চিত্তে কিন্তু ভয়শূন্য নই আমরা। তাই শির আমাদের উচ্চতায় খাটো। সুতরাং গৃহের প্রাচীরসম জ্ঞান আমাদের মুক্ত নয়। আসলে আমরা জড়ের শিক্ষা পেয়েছি। কিন্তু চেতনার শিক্ষা তো লাভ করিনি আমরা।

আরও পড়ুন-দেশের রাজনৈতিক মহলের লক্ষ্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করা, আক্ষেপ করলেন রামান্না

এত গাঢ় অন্ধকার! পথ চলব কী করে? এ তো হাজার বছরের জমাট অন্ধকার! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন— “হাজার বছরের জমাট অন্ধকার, ঘরের অন্ধকার তৎক্ষণাৎ দূর করতে একটি দীপশিখাই যথেষ্ট। তার জন্য আরও হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয় না। গুরু হলেন এই দীপশিখা।” বলার অপেক্ষা রাখে না, হাজার বছরের জমাট অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরটি হলাম আমরা। শাস্ত্রে বলা হয়েছে ‘গু’ শব্দের অর্থ অন্ধকার। আর সেই অন্ধকার দূরীভূতকারীকে ‘রু’ বলা হয়েছে। যিনি দীক্ষাদানের মাধ্যমে বিমল জ্ঞান দিয়ে আমাদের সংশয়ের গ্রন্থি (গাঁট)গুলিকে খুলে দেন। ফলত আমাদের অ-জ্ঞান-এর পাপরাশি বিলীন হয়ে যায়। তিনি (গুরু) হবেন শান্ত-দান্ত-কুলীন ইত্যাকার সৎ গুণ সম্পন্ন। সর্বোপরি পরোপকারী।
অনেক দিন ধরে তাঁর সংসর্গে থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গুরুকরণ বা গুরু-কে নির্বাচন করতে হয়। যেমনটি করেছিলেন সিমলে পাড়ার প্রবল যুক্তিবাদী নরেন। একেবারে যুক্তিবাদের কষ্টিপাথরে নানাভাবে যাচাই করে নির্বাচন করেছিলেন তাঁর গুরুকে। ঠাকুরও প্রসন্ন মনে এটা মেনে নিতেন। অবশেষে বলেই ফেললেন—“নরেন, এখনও তোর সংশয় দূর হল না? ঠিকই করেছিস, সংশয় দূর না হওয়া পর্যন্ত গুরুকে বাজিয়ে নিবি।” প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক হবে নিবিড়। এবং নিত্যদিনের। এমনটা নয় যে দীক্ষার পর গুরু-শিষ্যের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ থাকবে না। কোনও এক পুণ্যতিথিতে তাঁকে প্রণাম করতে গিয়ে প্রণাম করা তো দূর অস্ত্‌ দর্শনটুকুও জুটল না আমাদের কপালে। অর্থাৎ গুরু আর দীক্ষা যেন ‘Status symbol’ কোনওভাবেই না হয়। এমন গুরু-কে কিন্তু শাস্ত্র অনুমোদন করেন না। তাছাড়া দীক্ষারও একটি রীতি-নীতি-পদ্ধতি রয়েছে শাস্ত্রে। শাস্ত্রের এহেন পন্থা-পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মনগড়া পদ্ধতিতে দীক্ষা কিন্তু প্রকৃত দীক্ষা হল না। অর্থাৎ দীক্ষার পবিত্র অর্থ বহন করল না।

আরও পড়ুন-বাড়ির সামনে গুলি, খুন তৃণমূল কর্মী

সাধনার মূল কথা মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ। তার জন্য প্রয়োজন মনের ব্যায়াম। মনকে প্রতিনিয়ত বোঝাতে হয় যুক্তি, বিশ্লেষণ ও ন্যায়-অন্যায় বোধকে সদাজাগ্রত রেখে সাধনার পথে চলতে অনেক নির্দেশ মানতে হয়। সেই নির্দেশ যাঁরা দেন তাঁরা সকলেই গুরু। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গুরু একজন।। যিনি মন্ত্র দেন। ‘মননাৎ ত্রায়তে ইতি মন্ত্র’। যা মননের মধ্যে মুক্তি লাভ হয় তাই সার্থক সাধকের অনেক গুরু। অনেকের যুক্তির ধারা বা আচার-আচরণ বা তাঁদের প্রকৃতি থেকে সাধক অনেক উপাদান সংগ্রহ করেন। যা সাধককে সিদ্ধিলাভের পথে এগিয়ে দেয়। সাধনার বহুমুখ। মনকে নিজের বশে রাখার জন্য অনেক যুক্তি ও পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়। এখানেই বহু গুরুকরণের সার্থকতা। ‘অবধূত’ এই রকম একজন সাধক। যাঁর সব জানালা উন্মুক্ত। যেখান থেকে যেটুকু জ্ঞানালোক প্রবেশ করে তাতেই তাঁর মনের গভীর অন্ধকার কেটে যায়। তাঁর অন্তর্দেশ থেকে অজ্ঞতা দূরীভূত হয় ও তিনি জ্ঞানালোক প্রাপ্ত হন।

আরও পড়ুন-লারার রেকর্ড ভেঙে দিলেন বুমরা

গুরুর পৃথক পৃথক তাৎপর্য অপরিহার্য তা বৈজ্ঞানিক ভাবে ভাবা প্রয়োজন। সাধকের ভগবানের স্বারূপ্য লাভে ভয়ের কোনও ভূমিকা নেই। সাধক ঈশ্বরের ধারণা করেন ধ্যানের মাধ্যমে অনন্ত আনন্দলোকে পৌঁছানোর জন্য। তা ছাড়াও অবধূতের আরও এক আছে, সেটি তাৃঁর নিজের দেহ। দেহের সাহায্যেই তত্ত্বসকল নির্ণয় করে সাধক আনন্দিত মনে বিচরণ করতে পারেন। এই দেহ পরিবার বিস্তার করে, কষ্টে সৃষ্টে ভরণপোষণ করেন। অবশেষে সব ছেড়ে তাঁকে দেহত্যাগ করতে হয়।
এই দেহ অনিত্য আবার মনুষ্য জন্ম সুদুর্লভও বটে। সাধক সব সময়ে সতর্ক থাকবেন যাতে তাঁর অধোগতি না হয়। এবং এই জন্মেই তাঁর মুক্তিলাভ হয়।

আরও পড়ুন-লারার রেকর্ড ভেঙে দিলেন বুমরা

ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয় হলেও বিভিন্ন ঋষি তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝেছেন। এবং সেইমতো বর্ণনা করেছেন। তাই সকলের বর্ণনাই পূর্ণ না হলেও আংশিক সত্য তো বটেই। তাই প্রত্যেকের বর্ণনা থেকে কিছু না কিছু শিক্ষণীয় পাওয়া যাবেই।
অন্যদিকে, মানুষকে মানুষ হতে হবে। মানুষ যদি মানুষ না হয় তাহলে সেই সমাজের কী মূল্য থাকে? তাতে তো হিংস্র পশুর আবাসভূমি আস্ত একটা জঙ্গল হয়ে যাবে এই সমাজটা। আমরা হাইরাইজ অনেক বাড়ি করলাম। ঝাঁ-চকচকে রাস্তা হল। মোড়ে মোড়ে আইল্যান্ড হল। রঙবাহারি আলোর সাজে ফোয়ারা হল। রাস্তার দু-পাশে চোখজুড়ানো বাগান হল। জনে জনে বাড়ি-গাড়ি, আসবাব, সোনাদানা সব কিছু হল। রইল না বেকরত্বের জ্বালা। কিন্তু রূপকার মানুষগুলোর কী অবস্থা হল?

আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে ধোঁয়া-আগুন, জরুরি অবতরণ স্পাইসজেটের

মানুষগুলো? মানুষগুলো নিজেকে ছাড়া অন্যকে ভালবাসে না। চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলেও একের বিপদে অন্যের চোখে জল আসে না। তাই পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবে না। দাঁড়ানো দূরের কথা। সবই কেমন কিম্ভূতকিমাকার। আড়ে-বহরে আস্ত মানুষ। আচারে- ব্যবহারে-স্বভাবে কিন্তু বন্য হিংস্র জন্তুকেও হার মানাবে। তাহলে কী দাঁড়াল? আমাদের জীবনযাত্রার মান ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হলেও জীবনের মান একেবারে তলানিতে ঠেকল। জীবনযাত্রার মান নিশ্চয় উন্নত করব। একইসঙ্গে জীবনের উৎকর্ষ আর চরিত্রের বিকাশসাধনে যত্নবান হব আমরা। ঠাকুর বলতেন— ‘‘তোদের চৈতন্য হোক।’’ জীবনের এবং চরিত্রের উৎকর্ষ সাধনের চরম প্রকাশ হল চৈতন্য। যা আসে ভালবাসার মধ্য দিয়ে। একে অন্যকে ভালবাসবে। অন্যের শুধু সম্পদে নয়, বিপদেও নিজেকে নিয়োজিত করব আমরা। চাই প্রেম, চাই ভালবাসা, চাই মৈত্রী, চাই সহমর্মিতা। এই শিক্ষাই দেওয়া হয় চৈতন্যের শিক্ষাতে। জড়ের শিক্ষাতে নয়। খোলা আকাশের নিচে বৃক্ষবেদিমূলে প্রকৃতির কোলে পাঠদানপর্ব চলত। এখানে আধ্যাত্মিক শিক্ষার সঙ্গে জড়বিদ্যার পাঠ নিত বিদ্যার্থীকুল গুরুগৃহে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই। বিনা বেতনে গুরুগৃহে বাস করে গুরুসেবার মাধ্যমে এই বিদ্যা অর্জন করত এই বিদ্যার্থীরা।

আরও পড়ুন-ব্রিজ মেরামতি শিয়ালদহে ট্রেন বন্ধ

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা অর্থাৎ রথযাত্রার পরের পূর্ণিমাটিই গুরুপূর্ণিমা রূপে চিহ্নিত হয়েছে শাস্ত্রে। ষোলোকলায়য় পূর্ণ একটি আস্ত চাঁদযুক্ত তিথি হল পূর্ণিমা। সম্পূর্ণতার প্রতীক। ইংরেজিতে বলা হয় Full Moon. সম্পূর্ণতা না থাকলে আরাধ্যকে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ দ্বৈতভাব যেখানে বিলীন হয়ে যায় অদ্বৈত সত্তায়। অর্থাৎ School of dualism becomes School of non dualism. কীভাবে হয়? জ্ঞান সম্পূর্ণ। অস্তিত্ব সম্পূর্ণ। ভূমানন্দ সম্পূর্ণ হলে আমি তাঁর দাস থেকে তিনিই আমি। তিনিই আমি। তিনিই আমি। অবশেষে আমিই শিব। এমনটাই শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ এই কথাটিই উদাত্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বের দরবারে— “The knowledge absolute. The existance absolute. The bliss absolute. I am ‘He’. I am ‘He’. I am ‘He’. Soham. Shivoham. তাই সম্পূর্ণতা। অর্থাৎ সম্পূর্ণতার মূর্তপ্রতীক পূর্ণিমা। তাই অন্য তিথি নয়। প্রশ্ন হল বাকি এগারো মাসের যে কোনও পূর্ণিমাতে গুরুপূর্ণিমা হতে পারত। তা হল না কেন?

আরও পড়ুন-উদয়পুরে অভিযুক্ত রিয়াজের সঙ্গে বিজেপি নেতা!

আসলে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব-এর আবির্ভাব তিথি। অর্থাৎ এটি হল ব্যাসপূর্ণিমাও। আর মহর্ষি বেদব্যাস হলেন আমাদের সকলের গুরু। যিনি আজও শরীরে আছেন। অর্থাৎ সাতজন চিরজীবীর অন্যতম তিনি। তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে চলেছেন। আর বিশ্ববাসীর সদর্থক মানসিকতা গড়ে তুলছেন। যা আজকের দুনিয়ায় বড় বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তিনি বলছেন— “পরোপকার পুণ্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।” অর্থাৎ পুণ্য হল পরের উপকার করা। আর পাপ হল পরকে অর্থাৎ অন্য-কে পীড়ন করা। যা আগামী দুনিয়াতেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক হবে।

আরও পড়ুন-পাল্টা মারে ছন্দ নষ্ট করতে চেয়েছিলাম, বললেন ঋষভ

আধ্যাত্মিক জীবনে গুরুর ভূমিকা অপরিসীম। সমান্তরালভাবে তাঁর প্রভাব এসে পড়ে আমাদের সমাজজীবনে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কিন্তু একটি গৃহজীবন এবং একটি বিশ্বজীবন আছে। লক্ষ্য করতে হবে কথাটি হল গৃহজীবন, গৃহীজীবন নয়। এবং বিশ্বজীবন। গৃহস্থ ব্যক্তি মাত্রই সারাজীবন গৃহে অবস্থান করেন। গৃহ-সংক্রান্ত কথা বলেন। সন্ন্যাস নিয়ে পাহাড়-পর্বতের গুহায় চলে যান না। অথবা অরণ্যের গভীরে কুটির নির্মাণ করে জগৎ-বিচ্ছিন্ন, মানব-বিচ্ছিন্ন, সমাজ-বিচ্ছিন্ন ঈশ্বরমগ্ন সাধনার আসন বিছিয়ে বসেন না। তাঁরা গৃহজীবনে থাকেন অথচ একটি বিশ্বজীবনও যাপন করেন। উভয় জীবনের তফাতটা কোথায়? আমাদের জীবনে গৃহজীবন শতকরা প্রায় আটানব্বই ভাগ আমাদের ভিতরে বিশ্বজীবনটিকে খুঁজতে হয়। বিশ্বজীবন যে আমাদের জীবনে নেই তা বলা যায় না। পৃথিবী জুড়ে করোনা আবহে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছেন। অথবা আমফান নামক সুপার সাইক্লোনে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্বলটুকুও খুইয়ে বসে আছেন। কিংবা যুদ্ধজনিত কারণে রক্তপাত ঘটে শ’য়ে শ’য়ে সেনাবাহিনী প্রাণ হারান, তাহলে আমাদের মনে কষ্ট হয়। যাঁদের জন্য ব্যথা বা কষ্ট হয়, তাঁরা আমার বাড়ির কেউ নন। আমার পরিবারের কোনও সদস্য নন। তা সত্ত্বেও আমরা যখন অপরের দুঃখ আমাদের হৃদয়ে যন্ত্রণা অনুভব করি পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ উপলব্ধি করি যতদূর সম্ভব আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। নতুবা কোনও কারণে অপরের আনন্দে আনন্দ অনুভব করি, ঐটিই আমাদের হৃদয়ে বিশ্বজীবনের স্ফুলিঙ্গ। তবে, এটি আমাদের জীবনে খুব কম মাত্রা পায়। কারণ, আমাদের চিন্তা ও ভাবনার বেশির ভাগ অংশই আচ্ছন্ন হয়ে থাকে আমাদের সংসার নিয়েই। আমাদের ক্ষুদ্র এবং সঙ্কীর্ণ গৃহজীবনটিকে নিয়েই।

আরও পড়ুন-ব্রিজ মেরামতি শিয়ালদহে ট্রেন বন্ধ

এমনই এক প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ও সঙ্কীর্ণতারূপ মনের অন্ধকার দূর করেন গুরু। জ্ঞানকাজলের কাঠি দিয়ে আমাদের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেন তিনি। ফলে আমরা ক্ষুদ্র সঙ্কীর্ণতা থেকে ক্রমশ উদার মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার আলোকিত পথ খুঁজে পাই। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে আমাদের মন এবং মুখ করার ওপর। ঠাকুর সব সময় বলতেন, মন এবং মুখ এক করতে। আর এমনটি যিনি তাঁর ব্যবহারিক জীবনে বাস্তবায়ন ঘটাবেন শাস্ত্রের ভাষায় তিনি হবেন মহাত্মা।
“মনস্যেকং বচস্যেকং কার্য্যমেকং
মহাত্মনা।”
অর্থাৎ মনে এক, বাক্যে এক, এবং
কার্যে এক ব্যক্তিকেই মহাত্মা বলা হয়েছে। এরই বিপরীতে দেওয়া হয়েছে দুরাত্মার সংজ্ঞা।
“মনস্যন্যৎ বচস্যন্যৎ কার্য্যমন্যৎ
দুরাত্মনা।”
অর্থাৎ মনে অন্য, বাক্যে অন্য, এবং
কাজে অন্যরূপ আচরণকারীকে দুরাত্মা বলা হয়েছে। এই ভাবেই গুরুবাক্য পালন এবং অন্যকেও যথাযথভাবে সেইরূপ পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে গুরু এবং গুরুপূর্ণিমার ইতিবাচক বার্তার প্রকৃত ধারক ও বাহক হতে পারব আমরা।

Latest article