৭০০ মৃত্যুর দায় কে নেবে ? টিকায়েত

২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে।

Must read

আশিস গুপ্ত , নয়াদিল্লি : কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় প্রায় ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত রবিবার প্রশ্ন তুলেছেন, শহিদ হওয়া কৃষক পরিবারগুলির দায়িত্ব কে নেবে? দিল্লির তিন সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী তিন কৃষি আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিক্ষোভ চলবে।

আরও পড়ুন-রোগীকল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা

কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। পাশাপাশি এদিন এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, আজ নয়, ২৭ নভেম্বরই কৃষক আন্দোলনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

শুক্রবার গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রবিবারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল কৃষক সংগঠনগুলির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ।

আরও পড়ুন-ইডেনে কালোবাজারি গ্রেফতার ১২

মোদি তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠে যে, দিল্লি সীমান্তে প্রায় এক বছর ধরে যে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা তা কি চলবে? বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবারই বৈঠকে বসে সংযুক্ত কিসান মোর্চার অধীনে থাকা ৩২টি কৃষক সংগঠন। তবে শনিবার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই রবিবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে এই বৈঠক স্থগিত রাখা হয়।

আরও পড়ুন-পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে পঞ্চায়েত উপপ্রধান

২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৭ তারিখের বৈঠক না হওয়া অবধি কৃষক আন্দোলনের যাবতীয় কর্মসূচি বহাল থাকবে। সেই সূচি মেনে ২২ নভেম্বর লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল তা-ও নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে। কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, “সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে যে সমস্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল তা যথারীতি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচি মেনেই ২২ নভেম্বর লখনউয়ে মহাপঞ্চায়েত, ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সীমান্তে কৃষকদের বিশাল জমায়েত এবং ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদ ভবন অবধি ট্রাক্টর মিছিলের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা পালন করা হবে। ২৭ নভেম্বরের বৈঠকে ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন-শিয়রে ভোট, তৈরি তৃণমূল

কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল এদিন বলেছেন, ‘‘আমরা মোদির ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করছি না। আমরা দেখছি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কবে এই আইন বাতিল হয়। আমাদের আরও কিছু দাবিদাওয়া রয়েছে। সেই দাবিগুলি আমরা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। এ ছাড়াও আজ আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলি যেমন আছে তেমনই চলবে।” অন্যদিকে টিকায়েত বলেন লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধর্নায় বসে থেকেছেন।

কয়েকশো কৃষক শহিদ হয়েছেন। আন্দোলনে করার জন্য কৃষকদের ওপর আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। গত একবছরে কতকিছু ঘটেছে। সবকিছুর হিসাব বরাবর হলেই আমরা ফিরে যাব। আমাদের আর কয়েকদিন দেরি হলে অসুবিধা কোথায়?

Latest article