প্রতিবেদন: প্রতিরক্ষাখাতে বাজেট বাড়িয়েছে চিন এবং সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। ঘটনার প্রেক্ষিতে লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে মোদি সরকার কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar) বলেন, ভাষণ দেওয়ার সময় মুখে চিনের বিরুদ্ধে লড়াই, আত্মনির্ভরতার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অথচ, ২০০৫-’০৬ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত সময়ে চিনা বাণিজ্য ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দেশের রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। সীমান্তে চিন নিয়মিত আগ্রাসন চালালেও মোদির মুখে কোনও শব্দ শোনা যায় না। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, চিন ধীরে ধীরে ভারতীয় ভুখণ্ডের দিক থেকে আগ্রাসী হয়েছে। চিনের এই কাজের পাল্টা কী ব্যবস্থা নিয়েছে মোদি সরকার? চিন সম্পর্কে তো তাঁকে কোনও কথাও বলতে শোনা যায় না। কেমব্রিজেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলার আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়নি, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় দল
কেন্দ্রের মোদি সরকার মুখে চিনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আত্মনির্ভরতার কথা বললেও বাস্তবে যে চিত্রটা পুরোপুরি ঠিক নয় সে বিষয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। চিন এবং সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে লাগাতার বিরোধীদের আক্রমণের পর এবার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ গড়ে তোলার কাজ শুরু করল কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে শনিবার সীমান্তবর্তী এলাকার যুবকদের সঙ্গে এক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে ত্রিশূল ডিভিশনের পাতিয়ালা ব্রিগেড। গালোয়ান সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যাপক ঠাণ্ডার মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের ছবি ট্যুইট করেছে সেনাবাহিনী। এই ক্রিকেট ম্যাচকে সামনে রেখেই জনসংযোগের পথে হাঁটছে সেনাবাহিনী। যদিও সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা অব্যাহত।